চলতি মৌসুমে ইন্টার মিলানের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেস। যদিও কোনো শিরোপা জেতা হয়নি তার।
মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও শেষ পর্যন্ত হতাশাই সঙ্গী হলো ‘এল তোরো’ খ্যাত আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের। এর আগে সিরি আ, ইতালিয়ান সুপার কাপ ও ইতালিয়ান কাপেও শেষদিকে এসে পথ হারিয়েছে ইন্টার। ফলে মাত্র এক অল্প সময়ের মধ্যেই চারটি গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা হাতছাড়া হলো ক্লাবটির।
ফাইনালের আগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৯ ম্যাচে ২২ গোল করেছিলেন লাওতারো। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই ৯ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টের গোলদাতাদের তালিকায় পঞ্চমে ছিলেন তিনি। তালিকায় ১৩ গোল নিয়ে সবার ওপরে রাফিনিয়া ও সেরহু গিরাসি। ১১ গোল নিয়ে পরের স্থানে রয়েছেন হ্যারি কেইন এবং রবের্ত লেভানডোভস্কি।
দারুণ ফর্মে থাকলেও গতকাল রাতে মিউনিখে লাওতারো ছিলেন নিষ্প্রভ। পিএসজির গোলমুখে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেননি তিনি। শেষ বাঁশি বাজতেই হতাশায় পড়ে যান পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার বুকে। এই গোলরক্ষকই শুরুতে শান্তনা দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে। এরপর একে একে সতীর্থ ও কোচ সিমোন ইনজাগিও এসে তাকে সান্ত্বনা দেন।
ম্যাচ শেষে ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাওতারো জানান, এই হার তাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আরও একটি ফাইনালের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি, ‘আমাদের আবার শুরু করতে হবে, নতুনভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করবো আবার একটি ফাইনাল খেলতে এবং ইন্টারকে ইউরোপের শিরোপা এনে দিতে। এটাই আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ’
এই ফাইনাল শুধু এক মৌসুমের শিরোপা খোয়ানোর গল্প নয়, বরং পুরোনো আক্ষেপের পুনরাবৃত্তি। ২০২২-২৩ মৌসুমেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছিল ইন্টার মিলান, যেখানে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল তাদের।
আরইউ