নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা প্রীতি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। মঙ্গলবার দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কারফিউ জারির কারণে খেলা মাঠে গড়াচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে উত্তপ্ত কাঠমান্ডু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। সোমবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কারফিউ জারি করে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ দলের সফরে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বর্তমানে জামাল ভূঁইয়ারা হোটেলেই অবস্থান করছেন। আজকের নির্ধারিত অনুশীলন বাতিল হয়ে গেছে; পরিবর্তে খেলোয়াড়রা জিম ও রিকভারি সেশনে সময় কাটিয়েছেন।
বাংলাদেশ দলের ফিরতি ফ্লাইট নির্ধারিত আছে বুধবার। তবে ম্যাচ বাতিল হওয়ায় একদিন আগেই, অর্থাৎ মঙ্গলবারেই দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে জেন-জিদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, এদিন রাজধানীসহ পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরবাওয়া, ভারতপুর, ইতাহারি ও দমকসহ বিভিন্ন শহরের তরুণরা দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন।
কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একপর্যায়ে তরুণ বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের ঠেকাতে বলপ্রয়োগ করে। পরে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার পর কারফিউ জারি করে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে জাতীয় ট্রমা সেন্টারে আটজন, এভারেস্ট হাসপাতালে তিনজন, সিভিল হাসপাতালে তিনজন, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে দুজন এবং ত্রিভুবন টিচিং হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সুনসারির ইতাহারিতে বিক্ষোভের সময় গুলিতে আহত দুজনও মারা গেলে দেশব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ৩৪৭ জন আহত বিক্ষোভকারী চিকিৎসাধীন।
এআর/এমএইচএম