ঢাকা: ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন ডিভক অরিগি। তার একমাত্র গোলে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে বেলজিয়াম।
এর আগে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর আক্রমণাত্মকভাবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে রাশিয়া। ৫৯ মিনিটে সামেদভের ক্রসে কিক করতে ব্যর্থ হন রাশিয়ার স্ট্রাইকার কোকোরিন।
এরপর ৬০ মিনিটে ডিবক্সের ভেতরে ইগনাশেভিচ ডি ব্রুইনেকে ফেলে দিলে বেলজিয়ামের পেনাল্টি আবেদন নাকচ করেন রেফারি।
প্রথমার্ধে ৫৫ শতাংশ বল পজেশন ধরে রেখে খেলেছে বেলজিয়াম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে এগিয়ে রাশিয়া, রাশিয়ার আক্রমণ সামলাতে দ্বিতয়ার্ধের ৫৪ ও ৭৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে উইটসেল ও অ্যাল্ডারউইয়ার্ল্ডকে।
৭৪ মিনিটে ফাইজুলিনের হুক করা বলে হেড করেন ইগনাশেভিচ, কিন্তু তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত দু’দলই আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় গোলবঞ্চিত রয়েছে।
৮১ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে এশচেঙ্কোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আবারও গোলবঞ্চিত হয় রাশিয়া।
৮৩ মিনিটে মেইরালেসের ফ্রিকিক রাশিয়ার সাইডবারে লেগে দুর্ভাগ্যক্রমে গোলবঞ্চিত হয় বেলজিয়াম।
৮৬ মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ড বামপাশ থেকে বল টেনে ডান পাশ থেকে জোরালো শট করেৰ কিন্তু আবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার শট।
প্রথমার্ধ:
গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ করেছে বেলজিয়াম-রাশিয়া। খেলার শুরু থেকেই বেলজিয়াম আক্রমণাত্মভাবে খেলতে থাকে ও বেশ কয়েকটি গোল করার সুযোগ তৈরি করে। তবে পাল্টা আক্রমণে যেয়ে রাশিয়াও গোল করার সুগোগ পায়। কিন্তু দু’দলই গোল করে এগিয়ে যেতে পারেনি।
খেলার ৪ মিনিটেই অ্যান্ডারউইয়ার্ল্ডের পাস থেকে বল পেয়ে জোরালো শট করেন ড্রাইস মার্টেন্স। রাশিয়ার ডিফেন্ডার ইগনাশেভিচ তার শট ব্লক করেন।
এরপর খেলার ১৩ মিনিটে ফাইজুলিনের তীব্রগতির শট ফিরিয়ে দিয়ে রাশিয়াকে গোলবঞ্চিত করেন বেলজিয়াম গোলরক্ষক কুরতোয়েস।
খেলার ১৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কেভিন ডি ব্রুইনে দুজনকে কাটিয়ে রাইট উইংয়ে থাকা মার্টেন্সকে বলের জোগান দেন। মার্টেন্স রাশিয়ার ডিবক্সের ভেতরে লুকাকুর উদ্দেশ্যে বলটি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু লুকাকু শট নেওয়ার আগেই কজলভ বলটি ক্লিয়ার করেন।
২০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফেলাইনির বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে বেলজিয়ামের উইঙ্গার মার্টেন্স ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট করেন। অল্পের জন্য তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
খেলার ২৭ মিনিটে রাশিয়ার ফরোয়ার্ডকে ডিবক্সের ভেতর বাধা দেন বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার অ্যাল্ডারউইয়ার্ল্ড। কিন্তু রাশিয়ার পেনাল্টি আবেদনে সাড়া দেননি জার্মান রেফারি ফেলিক্স ব্রিচ।
৩১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ভের্তোঙ্ঘেন। ইনজুরি আক্রান্ত ভারমালিনের বদলে মাঠে নামেন তিনি।
৩৬ মিনিটে এ ম্যাচে উজ্জীবিত হয়ে খেলা বেলজিয়ামের উইঙ্গার মার্টেন্সের আরও একটি শট ফিরিয়ে দেন রাশিয়ার গোলরক্ষক আকিনফেভ।
৩৮ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন রাশিয়ার মাঝমাঠের খেলোয়াড় গ্লুশাকভ।
৪০ মিনিটে কোকোরিনের পাল্টা আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন বেলজিয়ামের অধিনায়ক কোম্পানি।
খেলার ৪৪ মিনিটে রাশিয়ার স্ট্রাইকার কোকোরিন গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
গুলশাকভের ডেলিভারি বক্সের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় পেয়েও তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৪