ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

আবারও শেষ মুহূর্তের গোল!।।ফরহাদ টিটো।।

... | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪
আবারও শেষ মুহূর্তের গোল!।।ফরহাদ টিটো।।

এই বিশ্বকাপের বুঝি অভ্যাসই হয়ে যাচ্ছে এটা। খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ, তারপর গোল! আর ইতিমধ্যে এমনভাবে হওয়া গোলগুলির কি যে মূল্য! রীতিমতো প্রাইসলেস!

শনিবার রাতে ইরানের বিপক্ষে স্টপেজ টাইমে গোল করেছিলেন মেসি।

সেই গোল যেমন প্রায় ছিটকে পড়া আর্জেন্টিনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলো তেমনি মান রক্ষা করেছিলো মেসিরও। তা না হলে, মানে ইরানের কাছে ড্রয়ের শিকার হলে আর্জেন্টিনা দলতো রাস্তায়ই বের হতে পারতোনা!

সবশেষ ঘটনাটি ঘটালো পর্তুগাল। সোমবার ভোরে ২-১ গোলে একরকম জিতে যাওয়া ইউএসএ'র হাত থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিলো রোনালদোর দল। আর এই গোলের মূল্য পর্তুগালের জন্য যে কতোটা অমূল্য তা সবাই জানেন। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্রস থেকে ভারেলার দেওয়া গোলটা পর্তুগালকে আজই প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিলো।

এই ফলাফলে গ্রুপের সব দলই আপাতত টিকে থাকলো পরের রাউন্ডে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। যদিও দুই খেলায় চার পয়েন্ট করে নিয়ে জার্মানি আর আমেরিকা এগিয়ে, তবু সমান খেলায় এক পয়েন্ট করে পাওয়া পর্তুগাল, ঘানার সম্ভাবনাওতো শেষ হয়ে যায়নি।

 আর, পর্তুগালকে  হঠাৎ বাঁচিয়ে দেওয়ার নায়ক, আমি বলবো রোনালদো। ভারেলাকে দিয়ে জীবন-বাঁচানো এই গোল করানোর পিছনে তার পাঠানো অসাধারণ ওই ক্রসটাকে তো বিশেষ কৃতিত্ব দিতেই হবে।
 
যদিও খেলা শুরুর ৪ মিনিটে বল নিয়ে মাঝমাঠ থেকে ঝড়ের মতো একটা টান দেওয়ার পর সারা খেলায় খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলোনা রোনালদোকে। এরপর মাঝেমধ্যে দু'একবার ভালো দু'একটা পাস দিয়ে দলীয় আক্রমণে শক্তি যোগানোর চেষ্টা করলেও গোলপোস্ট লক্ষ্য করে তার নেওয়া এলোপাতাড়ি শটগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছিলো তার ইনজুরির কথা।

ফিফা'র বিবেচনায় বিশ্বের বর্তমান সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে সন্দেহ ছিলো বছর ধরেই। বাঁ পায়ের হাঁটুতে চোট বা টেন্ডিনাইটিসে পর্যুদস্ত রোনালদো প্র্যাকটিসেও আসছিলেন পায়ে ব্রেইস লাগিয়ে। বরফের প্রলেপে পা-টাকে সচল রাখাও তো হয়ে গেছিলো নিয়মিত ব্যাপার। এমন আহত যোদ্ধাকে দিয়ে যুদ্ধ জয় আশাই বা করেন কিভাবে? কিন্তু এমনি এমনিতেই তো বিশ্বসেরা হয়না কেউ! তাই বোধ করি খেলার অন্তিম মুহূর্তে তেমন একটা কারিশমা দেখালেন রোনালদো, ম্যাচ জেতানো ওই ক্রস ডিস্ট্রিবিউশন করে।

কৃতিত্ব দিতে হবে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ন্যানিকেও অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্যে। দিতে হবে ইউএসএ অধিনায়ক ক্লিন্ট ডেম্পসি আর তার দলকেও- উজ্জীবিত খেলা উপহার দেওয়ার জন্যে।


বাংলাদেশের ‍আধুনিক স্পোর্টস সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মনে করা হয় তাকে। বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকেন। তবে এখনও স্পোর্টস এবং লেখালেখি তার হ্রদস্পন্দনের ‍সাথেই যেনো মিশে আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনে ফরহাদ টিটো লিখছেন বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।




বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।