ঢাকা: মেক্সিকো-ক্রোয়েশিয়ার অনেক সমীকরণের ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যই থেকেছে। দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালালেও ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কেউই কারও জালে বল জড়াতে পারেনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ক্রোয়েশিয়ার দখলে বল ছিল ৫২ শতাংশ সময়, আর মেক্সিকোর কাছে ছিল ৪৮ শতাংশ। ক্রোয়েশিয়া গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৬টি। সবক’টিই লক্ষ্যভ্রষ্ট। আবার মেক্সিকোর নেওয়া ৩টি শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ক্রোয়েশিয়া ট্যাকল জয় করেছে ৬টি, আর মেক্সিকো ৮টি। ফাউলে ক্রোয়েশিয়ানরা অভিযুক্ত হয়েছেন ৬ বার, মেক্সিকানরাও অভিযুক্ত হয়েছেন সমানভাবে।
খেলায় অসদাচরণের জন্য দুই দলের দু’জন হলুদ কার্ড হজম করেছেন। এরা হলেন মেক্সিকোর রাফায়েল মারকেজ ও ক্রোয়েশিয়ার ইভান রাকিটিকিচ।
অনেক সমীকরণকে সামনে রেখে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে এ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মেক্সিকো ও ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ২টায় রেসিফের অ্যারেনা পারনামবুকো স্টেডিয়ামে এ দ্বৈরথ শুরু হয়।
চলতি বিশ্বকাপে অস্তিত্ব ধরে রাখার এ লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে মাঠে খেলছেন-প্লেটিকোসা, ভ্রাসালকো, প্রানজিক, পেরিসিক, কোরলুকা, লোভরেন, রাকিতিক, মড্রিচ, সরনা, মানজুকিচ ও অলিচ।
সামিরের পরিবর্তে ভ্রাসালকোকে নিয়ে কোচ নিকো কোবাচের তত্ত্বাবধানে খেলছে ক্রোয়েশিয়ানরা।
অপরদিকে মেক্সিকোর পক্ষে মাঠে নেমেছেন-ওচোয়া, রদ্রিগেজ, মারকেজ (অধিনায়ক), হেরেরা, লাউন, দোস সান্তোস, মোরেনো, গুয়ারদাদো, পেরাল্টা, আগুইলার ও ভাসকেজ।
আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই কোচ মিগেল হেরেরার তত্ত্বাবধানে খেলছে মেক্সিকো।
ম্যাচে বাঁশি হাতে দৌঁড়াচ্ছেন উজবেকিস্তানের রাভশান ইরমাতভ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে জিতে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এ গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। আর ব্রাজিলের সঙ্গে হারলেও ক্যামেরুনের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তিন নম্বরে অবস্থান করছে ক্রোয়েশিয়া।
পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার ক্ষেত্রে ক্রোয়েশিয়ার যেমন এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই, তেমনি অন্তত ড্র করে হলেও পরবর্তী রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত করতে চাইবে মেক্সিকো।
তাছাড়া, ব্রাজিল-ক্যামেরুন ম্যাচের পাশাপাশি এ ম্যাচটির দিকেও নজর রাখছে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডস ও রানারআপ চিলি।
রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ দুই দল নেদারল্যান্ডস-চিলির লড়াইয়ের প্রধান লক্ষ্য ছিল পরবর্তী রাউন্ডে ব্রাজিলকে এড়াতে গ্রুপের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করা। তাদের ধারণা, ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে ব্রাজিল। আর ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলে পরবর্তী রাউন্ডে তাদের মোকাবেলা করতে হবে ‘বি’ গ্রুপের রানারআপকে।
যেহেতু রাতে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণী ম্যাচে জিতে নেদারল্যান্ডস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে, এখন তাদের মনে প্রাণে কামনা ক্যামেরুনের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্রাজিল জিতে চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করুক। আর তাতে পরবর্তী রাউন্ডে ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে হবে ‘বি’ গ্রুপের রানারআপ চিলিকে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নেদারল্যান্ডস পাবে মেক্সিকো কিংবা ক্রোয়েশিয়াকে।
অপরদিকে একই লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামলেও যেহেতু ম্যাচ হেরে চিলিকে গ্রুপের রানারআপ হতে হয়েছে, তাই তাদের এখন আবার প্রত্যাশা ভিন্ন। তারা চাইবে ক্যামেরুন ‘অঘটন’ ঘটিয়ে দিক, না হলে অন্তত ড্র হলেও করুক এবং মেক্সিকো-ক্রোয়েশিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিক। এতে ব্রাজিল রানারআপ হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে, আর তাতে অস্কার-নেইমারদের সঙ্গে লড়তে হবে ফন পার্সি-রোবেনদের।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪