ময়মনসিংহ : দুরন্ত গতি আর অসামান্য দক্ষতায় ব্রাজিলকে ফিরিয়ে এনেছেন সাম্বার ছন্দে। নিজের দেশের বিশ্বকাপে এরইমধ্যে ৩ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল।
চলমান বিশ্বকাপে শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখার পাশাপাশি কিংবদন্তি পেলের রেকর্ডও তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন। বিশ্বকাপে এতদিন অভিষেক আসরে প্রথম ৩ ম্যাচে ৪ গোল করার রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন পেলে। এবার অভিষেক বিশ্বকাপে সমান ম্যাচে সমান সংখ্যক গোল করে পেলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ফুটবলের নতুন জাদুকর নেইমার।
একই সঙ্গে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষ স্থানটা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছেন ‘কালো মানিক’ খ্যাত পেলে। দেশের পক্ষে খেলা ৯২ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা ৭৭। পেলের এ রেকর্ডে ভাগ বসাতে দ্রুত গতিতে ছুটছেন নেইমার। ৫৩ ম্যাচে তিনি করেছেন ৩৭ গোল।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জেতা তারকা রোনালদো এক সময় এগুচ্ছিলেন পেলের রেকর্ড ভাঙার পথে। কিন্তু ৯৮ ম্যাচ খেলে ৬২ গোল নিজের ঝুঁলিতে ভরে তাকে ইতি টানতে হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। ব্রাজিলের অন্যতম সেরা রোমারিও, বেবেতো ও জিকোও পারেননি জীবন্ত কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড স্পর্শ করতে। কিন্তু নেইমার কি পারবেন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই বলে দেবে।
আপাতত বেবোতোকে টপকে যাবার নেশায় রয়েছেন নেইমার। তাঁর চেয়ে মাত্র দু’টি গোল বেশি ৭৫ ম্যাচ খেলা বেবেতো’র। নেইমার যেখানে ৩৭ গোল, বেবেতো সেখানে ৩৯।
ফুটবলের নতুন সেনসেশন নেইমার ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেকেই গোল করেন। ২০১১ ও ২০১৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার ‘প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালে কোচ লুই ফিলিপে স্কোলারি এ বার্সেলোনা তারকাকে জাতীয় দলের ১০ নম্বর জার্সি পরেিয় দেন। ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক মস্তিষ্করে এ কোচের তুণে সবচেয়ে বড় অস্ত্র এ নেইমারই। গতি, দু’ পায়ের সমান ফিনিশিং দক্ষতা ও ড্রিবলিং করে বিস্ময় জাগিয়েছেন ব্রাজিলের এ প্রাণভ্রোমরা।
২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপে জিতেছিলেন গোল্ডেন বল। এখন নিজের দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে তিনিও হয়ে উঠতে পারেন কিংবদন্তি! ২০ কোটি মানুষের পাহাড় সমান প্রত্যাশার চাপ তাঁর কাঁধেই। বাকি ম্যাচগুলোতে নিজের সেরাটা ধরে রাখতে পারলে ব্রাজিলকে হেক্সা জেতাতেই পারেন নেইমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৪