ঢাকা: বিশ্বকাপে সবাই মেতেছে মেসি-নেইমার-মুলার-ক্লোসাদের পায়ের জাদুতে। সবার হিসাবের খাতায় কলম ঘুরছে ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের বিংশতম আসরে কী রেকর্ড ভাঙছে, আর কী রেকর্ড নতুন করে গড়ছে-এমন তথ্য লিখতে লিখতে! এরই মধ্যে বিশ্বকাপের প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ গ্রুপ পর্ব গড়ে ফেলেছে নতুন এক রেকর্ড।
ফিফার ইভেন্ট স্পন্সর এবং ১২ স্টেডিয়াম ও সম্প্রচারের জায়গাগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত টেলিকম কোম্পানি ওই জানায়, ইন্টারনেটে রেকর্ড-ভাঙা ৩২ টেরাবাইট ডাটা সৃষ্টি করেছে চলতি বিশ্বকাপ! সেইসঙ্গে এই মহাযজ্ঞ মাত্র ১০ দিনে ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকান আয়োজনকে টপকে গেল।
টেলিকম কোম্পানি ‘ওই’ বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া ২০ হাজার বিশ্বসংবাদিককে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে। পাশাপাশি সাত লাখেরও বেশি অ্যাকসেস পয়েন্টসহ সবচেয়ে বড় ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সরবরাহ করছে।
‘ওই’র দেওয়া তথ্যমতে,
*বিশ্বকাপের প্রথম ১০ দিনেই ডাটা ভলিউম দেখা গেছে ৩২ টেরাবাইট। যা পুরো ২০১০ বিশ্বকাপের ডাটাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
*এই ১০ দিনে ফিফা এবং ১১৩টি দেশের ২০ হাজার সাংবাদিকের ডাটা চলাচলকে প্রতিবিম্বিত করে।
*সোচি উইন্টার অলিম্পিক ও সুপারবোল এক্সএল৮’সহ প্রথমসারির সব ইভেন্টকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে প্রথম ১০ দিনের ইন্টারনেট ব্যবহার।
*পাশাপাশি সাত লাখেরও বেশি অ্যাকসেস পয়েন্টসহ সবচেয়ে বড় ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সরবরাহ করা হয়েছে এবারের বিশ্বকাপে।
‘ওই’র প্রধান নির্বাহী ক্লদিও মোরেইরা গনসালভেস জানান, সর্বোচ্চ ইন্টারনেট সংযোগকারী ব্রাজিল বিশ্বকাপের এই রেকর্ড বড় আয়োজনে টেলিকম সরবাহকারী হিসেবে ওই-এর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে আরও দৃঢ় করবে।
রেকর্ড বলছে, ১৭ দিনব্যাপী সোচি উইন্টার অলিম্পিকস’র মোট ডাটা ছিল ৩৪ টেরাবাইটস ও সুপারবোল এক্সএল৮-এ ব্যবহার হয় ১৯ টেরাবাইট ডাটা।
অথচ মাত্র ১০ দিনেই সে রেকর্ড ভেঙে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের ডাটা দাঁড়িয়েছে ৩২ টেরাবাইট।
আসল কথা হলো এখনও শেষ ষোল বাকি, বাকি কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও বহু আকাঙ্ক্ষিত ফাইনাল লড়াই। দেখা যাক রেকর্ড ভাঙতে ভাঙতে নতুন কী রেকর্ড গড়ে এবারের বিশ্বকাপ!
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৪