ঢাকা: ১৯৯৪ বিশ্বকাপ থেকে টানা ৫ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা।
নকআউটে স্বপ্ন ভাঙার বেদনা সয়ে সয়ে যে মেক্সিকান মধ্যবয়স্করা বৃদ্ধ হয়ে গেছেন।
একটি জয় তাদের পার করাতে পারে নকআউটের বৈতরণী। একটি জয় গড়তে পারে ইতিহাস। একটি জয় নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের ঠিকানায়। একটি মাত্র জয় পারে ২০ বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গোণা মেক্সিকানদের লালিত স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ব্রাজিলের ফোর্টালেজার ম্যাচটিই কোটি মেক্সিকানদের কাঙ্খিত সেই ম্যাচ।
এই ম্যাচের জয় দিয়ে কমলা দূর্গ ভেঙে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইতিহাস হতে চায়, ইতিহাস গড়তে চায় মেক্সিকো।
হল্যান্ড এ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল জেনেও মেক্সিকানদের জোর বিশ্বাস, এস্তাদিও ক্যাসতেলাও মাঠে ৯০ মিনিট শেষে যারা বীরের বেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেন তারা সবাই সবুজ জার্সিধারী। স্টেডিয়ামের সবুজে এদিন দস সান্তোসরা ফুটিয়ে তুলবে মেক্সিকান বিজয়গাঁথা।
সমর্থকদের প্রত্যাশা হল্যান্ডকে তারা ২-০, ১-০ এমনকি ৩-১ গোলেও হারিয়ে দিতে পারে।
সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার ধণুর্ভাঙা পণ নিয়েই কমলা শিবিরের আতঙ্ক হয়ে উঠতে প্রস্তুত গুইলারমো ওচোয়া, জুয়ান ভাজকুয়েজ, রাউল জিমিনেজ ও জিওভানি দস সান্তোসরা।
এবার ওচোয়াদের স্বপ্ন পূরণে প্রেরণা প্রথম পর্বের তিন ম্যাচ। ক্যামেরুনকে ১-০, ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে হারানো মেক্সিচো চমক দেখায় স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ০-০ গোলে ড্র করে তারা।
এ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় ভরসার হয়ে উঠেছেন গোলরক্ষক ওচোয়া। ওচোয়ার হাত ফাঁকি দিয়ে গত তিন ম্যাচে মাত্র একবারই বল জাল স্পর্শ করতে পেরেছে।
চীনের প্রাচীর হয়ে ওঠা ওচোয়াকে ঢাল করে ও তুরুপের দস সান্তোসের পায়ে ভর করেই নকআউট বৈতরণী পাড়ি দেওয়ার ছক কষেছেন কোচ মিগুয়েল হেরেরা।
হেরেরার মন্ত্রে উজ্জীবিত মেক্সিকানরা চান দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লালিত স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে। গোটা মেক্সিকো স্বপ্নে বিভোর রোবেন-স্লাইডারের হল্যান্ডকে হারিয়েই তারা সেরা আটে জায়গা করে নেবে।
ফুটবল বিধাতা কি করবেন এস্তাদিও ক্যাসতেলাওতে? মেক্সিকোর ২০ বছরের অপেক্ষাকে ২৪ বছরে নিয়ে যাবেন। নাকি ২০১০ সালে ইনিয়েস্তা হল্যান্ডের বুকে যে বেদনার শেল বিদ্ধ করেছিল তার উপশমের পথ দেখাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪