ঢাকা: নকআউটে আজ তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞতার আলজেরিয়া। যদিও পরস্পর দুবারের মুখোমুখি দ্বৈরথে দুবারই হেরেছে জার্মানি।
এরইমধ্যে সোমবার মুসলিম বিশ্ব পালন করবে প্রথম রোজা। কিন্তু কি করবেন আলজেরিয়ান খেলোয়াড়রা। তারা কি ব্রাজিলের তাপদাহের মধ্যে রোজা রেখে খেলতে পারবেন? এমন প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন কোচ ভাহিদ হালিলহডজিক বিয়টি ছেড়ে দিলেন দলের খেলোয়াড়দের উপর।
রোজার সময় মুসলমানদের সারাদিন সবধরনের খাবার ও পানীয় সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হয়। এ অবস্থায় ভ্রমণ ও শারীরিক পরিশ্রম করা কঠিন। কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলিম অ্যাথলেট অনুশীলন বা মূল লড়াইয়ের সময় রোজা রাখেন। কিন্তু কোচের জন্য তাদের সিলেকশন করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
তাছাড়া ব্রাজিলের প্রচণ্ড তাপদাহে একজন খেলোয়াড় শরীর থেকে সর্বোচ্চ চার লিটার পানি খোয়াতে পারেন। এতে এমনিতেই তার দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। তাই প্রথবারের মতো গতকালের ম্যাচে দেওয়া হয় কুলিং ব্রেক। এর মধ্যে রোজা ইস্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছে আলজেরিয়ান সমালোচকরা।
হালিলহডজিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সমালোচকরা রোজা ইস্যু নিয়ে আমি ও আমার পরিবারকে আঘাত করবে, এটা সত্যিই অস্বস্তিকর।
আলজেরিয়ার ফুটবল বিষয়ক শীর্ষ একটি সংবাদপত্র বলেছে, হালিলহডজিক একজন মুসলিম হয়ে খেলোয়াড়দের রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু এতে দ্বিমত পোষণ করেছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এটা মুসলিম বিশ্বের জন্য স্পর্শকাতর একটি বিষয়। হালিলহডজিক ধর্মকে সম্মান করেন।
বসনিয়ার সাবেক এই ফটবলার বলেছিলেন, রোজা রাখা না রাখা ব্যক্তিগত বিষয়। খেলোয়াড়রাই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা আসলে কি করবেন। যখন কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে তখন সেটা হবে নৈতিকতা ও ধর্মের প্রতি সম্মান নিয়ে প্রশ্ন। আমি এটা থামাতে চাই।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এও বলেন, আমাকে রমজান নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করুন, নইলে আমি সংবাদ সম্মেলস্থল ছেড়ে যেতে বাধ্য হব।
জার্মানি-আলজেরিয়া ম্যাচটি দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তোতে শেষ হবে সূর্য ডোবার ঘণ্টাখানেক আগে।
আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক হালিলহডজিক বলছেন, সমগ্র আরব বিশ্ব আমাদের সঙ্গে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৪