ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে শেষ আটে বেলজিয়াম

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৪
যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে শেষ আটে বেলজিয়াম

ঢাকা: অতিরিক্ত সময়ে ২ গোল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো বেলজিয়াম। নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটে ৩০টিরও বেশি শট নিয়ে একটিও গোল করতে পারেনি ইউরোপের দলটি।

তবে প্রথম ৯০ মিনিটে কোনো গোল না হলেও এ ম্যাচের অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে হয়েছে ৩টি গোল। ২টি গোল যুক্তরাষ্ট্রের জালে অন্যটি বেলজিয়ামের জালে।  

যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ডের দেওয়াল ভাঙতে অতিরিক্ত সময়ের খেলা পর্যন্ত বেলজিয়ামকে অপেক্ষা করতে হয়। অতিরিক্ত সময়ের  ৩ মিনিট যেতেই গোল করে দলকে ১-০তে এগিয়ে নেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড ডি ব্রুইন।

এরপর বেলজিয়ামের বদলি খেলোয়াড় লুকাকুর গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় রেড ডেভিলসরা। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ১০৫ মিনিটে ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি রোমেলু লুকাকু।

এরপর একটি গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের ১০৮ মিনিটে ১৯ বছর বয়সী বদলি খেলোয়াড় জুলিয়ান গ্রিনের সুবাদে এক গোল পরিশোধ করে যুক্তরাষ্ট্র। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইয়ের্গেন ক্লিন্সম্যান বদলি খেলোয়াড় হিসেব মাঠে নামান গ্রিনকে। আর মোঠে নেমেই নিজের ও ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম গোল করেন গ্রিন। তার গোলে যুক্তরাষ্ট্র ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয় বিশ্বকাপ থেকে।

এর আগে নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটে বিপুল সংখ্যক গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেও কোনো গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম। একদিকে নিজেরদের স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত রয়ে যায় ‘রেড ডেভিলস’ খ্যাত বেলজিয়াম।

নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় গড়ায় ম্যাচটি।
  
এর আগে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর নির্ধারিত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বেলজিয়াম। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে মার্টেন্সের হেড দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ড।

খেলার ৫৪ মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন স্ট্রাইকার অরিগি। ডি ব্রুইনের কাছ থেকে পাওয়া বলে শট করে বলটিকে সাইড নেটে পাঠিয়ে দেন তিনি।

এর ঠিক দুমিনিট পরেই আবারও সুযোগ পান অরিগি। অ্যাল্ডাউইয়ার্ল্ড-এর ক্রসে করা তার হেড বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় অরিগিকে।

এরপর ম্যাচের ৬০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মার্টেন্স। বেলজিয়াম স্ট্রাইকার অরিগি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে পাস দেন মার্টেন্সকেম কিন্তু মার্টেন্স গোল করতে ব্যর্থ হন।

৬৯ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে উইটসেলের শট যুক্তরাষ্ট্রের বার ঘেঁষে চলে গেলে ফের হতাশ হতে হয় বেলজিয়ামকে।

৭২ মিনিটে আবারও অরিগিকে রুখে দেন টিম হাওয়ার্ড। এ সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোলবারে ২৪টি শট করেছে বেলজিয়াম। কিন্তু টিম হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত রয়ে যায় বেলজিয়াম।

৭৯ মিনিটে আবারও হ্যাজার্ডর শট আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রে গোলরক্ষক হাওয়ার্ড। শুধুমাত্র হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় এখনও এ ম্যাচে গোলউৎসব করতে পারেনি বেলজিয়াম।

শেষ ১০ মিনিটের প্রতিটি মিনিটে একটি করে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম। স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ও হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিতই রয়ে যায় তার ৯০ মিনিট পর্যন্ত।
  
এর আগে প্রথমার্ধের শুরুতেই গোল করার সুযোগ পান বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার ডিভক অরিগি। প্রথম মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে জোরালো শট করেন অরিগি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গোলরক্ষক হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় বেলজিয়াম।

খেলার প্রথম ১৫ মিনিট পর্যন্ত দু’দলই বেশ কিছু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গেলেও, গোল করার সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে বেলজিয়াম।

খেলার ১৮ মিনিটে রেফারি তার পকেট থেকে প্রথম হলুদ কার্ড বের করেন। প্রকিপক্ষের খেলোয়াড়কে অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় কার্ড দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার জিওফ ক্যামেরন।

ম্যাচের ২১ মিনিটে ক্লিন্ট ডেম্পসির জোরালো শট ফিরিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোরতোয়া।

এরপর ২৩ মিনিটে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বেলজিয়াসের উইঙ্গার কেভিন ডি ব্রুইন। মধ্যমাঠে ভেরতোঙ্ঘেনের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে গোল করার সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন ব্রুইন। তার বাম পায়ের শট গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়।

এরপরও বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণদুর্গে হানা দেয় বেলজিয়ামের আক্রমণোগের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু তাদের ব্যর্থতায় গোলবঞ্চিত হয় বেলজিয়াম।

২৯ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে গোল করার চেষ্টা করেন ইডেন হ্যাজার্ড। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক এবারও বেলজিয়ামকে আটকে দেন।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে আবারও গোল করার চেষ্টা করেন ইডেন হ্যাজার্ড। এবার তার শট ব্লক করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার।

৪২ মিনিটে ইয়েডলিনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলবার মুখে শট করেন যুক্তরাষ্ট্রে মিডফিল্ডার গ্রাহাম জুসি। তার শট গোল পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।

এরপর ৪৬ মিনিটে ইনজুরি সময়ে ব্রুইনের আরও এইট শট আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক হাওয়ার্ড।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।