ঢাকা: স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে সমতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টে এই পর্যন্ত দলটি ম্যাচ খেলেছে চারটি, যার মধ্যে তিনটিতেই ড্র আর একটিতে জয়।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই রহমতগঞ্জ সীমানায় বেশ গোছালো একটি আক্রমণ চালায় আবাহনী। দলটির রক্ষণভাগের কৃপায় রহমতগঞ্জ এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও ৭ মিনিটে ঠিকই গোল হজম করতে হয়। কামারা সাররার ক্রস থেকে প্লেসিং শটে রোহান রহমতগঞ্জ গোলরক্ষককে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।
শুরুতেই পিছয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে মরিয়া রহমতগঞ্জ একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আবাহনী সীমানায়। প্রথমার্ধ শেষের মাত্র ৭ মিনিট আগে আবাহনীর গোলবারের ডানপ্রান্ত থেকে ফয়সাল আহমেদের ক্রসে দলকে ১-১ এ সমতা এনে দেন কঙ্গোর স্ট্রাইকার সিও জুনপিও।
এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হলে সমতা নিয়েই দু’দলকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যেতে হয়।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী যেমন অলঅ্যাটাক আক্রমণে গিয়ে রহমতগঞ্জের রক্ষণ এলোমেলো করে দিয়েছে, তেমনি রহমতগঞ্জও কাঁপন ধরিয়েছে আবাহনী সীমানায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ২৬ মিনিটে মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদের এগিয়ে দেয়া বল থেকে গোলবারের বাঁদিক দিয়ে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে আবাহনীর জালে বল ঠেলে দেন শাকিল। ফলে, ২-১ গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ।
রহমতগঞ্জের এগিয়ে থাকা যেন ঠিক মেনে নিতে পারছিলো না হলুদ রঙের জার্সিধারীরা। এমনই এক লড়াকু মানসিকতা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ৪২ মিনিটে এক ডিফন্স চেরা আক্রমণ রচনা করে আবাহনী। এই যাত্রায় অবশ্য প্রথম আক্রমণের দায়িত্ব নেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা। কিন্তু তার জোরালো শটটি গোলরক্ষক আল আমিন ফিরিয়ে দিলে সেই শটটি লুফে নিয়ে সেনেগাল ফরোয়ার্ড কামারা সারা রহমতগঞ্জের জালে বল জড়ালে খেলা ২-২ এ সমতায় ফেরে।
সমতায় ফিরেই থেমে থাকেনি আবাহনী। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে ফয়সাল মাহমুদের মাটি কামরানো শটটি গোলবারে লেগে ফিরে না আসলে হয়তো এগিয়ে যেতে পারতো আবাহনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায় সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল ২০১৬
এইচএল/এমআর