ঢাকা: ম্যাচটি ছিলো চেলসি বনাম টটেনহাম হটস্পারের। তবে এই ম্যাচে নির্ভর করছিলো লিচেস্টার সিটির ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ।
সেই ১৮৮৪ সালে যাত্রা শুরু হয় লিচেস্টারের। তবে দলটিকে বেশিরভাগ সময়ই দ্বিতীয় বিভাগ বা তৃতীয় বিভাগে খেলতে হয়েছে। কিন্তু এই দলই যে শিরোপার ট্রফিতে চুমু খাবে তা কি কেউ ভেবেছিলো? এই মৌসুমে কোচ ক্লাউদিও রানেইরির অধীনে সেটিই করে দেখালেন জেমি ভার্ডি ও রিয়াদ মাহারেজরা।
সোমবার রাতের ম্যাচটি অবশ্য অন্যরকম হতে পারতো। হয়ত শিরোপার জন্য লিচেস্টারকে আরও এক ম্যাচ অপেক্ষা করতে হতো। কারণ ম্যাচে প্রথমার্ধে হ্যারি ক্যান ও হিউং-মিন সনের গোলে ২-০তে লিড নিয়েছিলো টটেনহাম।
কিন্তু চেলসি যে তাদের ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খেলছে তাই চমক অপেক্ষা করছিলো। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গ্যারি কাহিল ও শেষদিকে এডেন হ্যাজার্ডের গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্লুজরা। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে লিচেস্টার।
টটেনহাম ৩৬ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট অর্জন করেছে। লিগে তাদের এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তবে লিচেস্টার সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট পেয়েছে। সুতরাং বাকি দুটি ম্যাচে লিচেস্টার হারলেও অন্যদিকে টটেনহাম দুটি জিতলেও কোন লাভ হবে না।
লিচেস্টারের শিরোপা উৎসবে রাতে আনন্দে আত্মহারা তাদের সমর্থকরা। রাস্তায় মিছিল, উৎসব করেই তাদের পুরো রাত কেটে যায়। আর লিচেস্টার ফুটবলারদের এদিন ছুটি থাকায় প্রায় সবাই ভার্ডির বাসায় চেলসি ও টটেনহামের খেলা উপভোগ করেছেন। কোচ রানেইরি অবশ্য ইংল্যান্ডে ছিলেন না। মা অসুস্থ হওয়ায় তিনি ইতালিতে গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ০৩ মে, ২০১৬
এমএমএস