ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে হারিয়ে সেমিতে আরামবাগ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৬
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে হারিয়ে সেমিতে আরামবাগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে জয় পেয়েছে আন্ডারডগ আরামবাগ ক্রীড়া চক্র। ফলে, সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করতে টাইব্রেকারে আরামবাগ ৫-৪ গোলে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে।

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে আরামবাগ ক্রীড়া চক্র ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিকেল পৌনে চারটায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি মাঠে গড়ায়।

গ্রুপপর্বে শক্তিশালী ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আসা আরামবাগকে ম্যাচের প্রথমার্ধেই কিছুটা ছিটকে দেয় জামাল। ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হলুদ জার্সিধারী শেখ জামাল প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায়। তবে, বিরতির পর ম্যাচে ফেরে দুর্দান্তভাবে আসর শুরু করা আরামবাগ। নির্ধারিত সময়ে দুটি গোল শোধ করায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও কোনো রেজাল্ট না আসলে খেলা শেষ হয় টাইব্রেকারে।

প্রথম ৫টি শটের চারটিতেই গোল করেন পেনাল্টি নিতে আসা দুই দলের তারকারা। তবে, ষষ্ঠ শটে আরামবাগ গোল করলেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নিজেদের ষষ্ঠ শট থেকে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয়। সাডেন ডেথের শটে মনসুর আমিনের গোলে এগিয়ে যায় আরামবাগ। তবে, কেষ্ট কুমার বোস গোলবারের বাইরে শট নিলে শেখ জামালের স্বপ্ন ভেঙে যায়।

‘এ’ গ্রুপ থেকে এক জয় ও এক ড্রয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আরামবাগ ক্রীড়া চক্র। অপরদিকে, ‘সি’ গ্রুপ থেকে ২ ম্যাচের দুটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে, গ্রুপের অন্য দল হিসেবে এক জয় ও এক হার নিয়ে কোয়ার্টারের টিকিট কাটে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

ম্যাচের ৪১তম মিনিটে প্রথম লিড নেয় শেখ জামাল। বাঁদিক দিয়ে ওয়েডসেনের বাড়ানো ক্রসে জোরালো শট নেন কিছুটা উপরে খেলতে আসা ডিফেন্ডার লিঙ্কন। পোস্টের ভেতরের কানায় লেগে আরামবাগের জালে জড়ায় বল। ফলে, ১-০ তে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওয়েডসন। ল্যান্ডিংয়ের অ্যাসিস্ট থেকে দলকে দ্বিতীয় গোল পাইয়ে দেন তিনি।

বিরতির পর ম্যাচের ৬১তম মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমান ইয়োকো সামনিক। জাফরের অ্যাসিস্ট থেকে ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড সামনিক আরামবাগকে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন (২-১)।

এর আট মিনিট পর সমতায় ফেরে আরামবাগ। ৬৯তম মিনিটে সামনিকের বাড়ানো বলে শট নেন কেস্টার আকন। শেখ জামালের জালে বল জড়ালে ২-২ এ সমতায় ফেরে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।

এরপর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো দল গোল আদায় করতে না পারলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ১৭ জুন ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।