ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ম্যারাডোনাকে হিগুয়েইনের আঘাত!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৬
ম্যারাডোনাকে হিগুয়েইনের আঘাত! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গঞ্জালো হিগুয়েইনের সম্ভাব্য জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার খবরে মনে বড় ‘আঘাতই’ পেয়েছেন নাপোলি কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যগুলোর খবর, হিগুয়েইনের ৯৪.৭ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ দিতে রাজি জুভেন্টাস।

আর্জেন্টাইন তারকা মেডিকেল পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

খুব শিগগিরই নাকি হিগুইয়েনকে দলের ভেড়ানোর কাজ সম্পন্ন করবে জুভিরা। এখন কেবল অফিসিয়াল ঘোষণা দেওয়াটাই বাকি! গত মৌসুমে নাপোলির হয়ে সিরি আ’র সর্বোচ্চ গোলস্কোরারকে পাওয়ার দৌড়ে ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনালও ছিল।

সব ঠিক থাকলে গ্যারেথ বেলের পর ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন হিগুয়েইন। যিনি ২০১৩ সালে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে টটেনহাম ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

সম্প্রতি হিগুয়েইনের ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা নাকোচ করে দিয়েছিলেন নাপোলি প্রেসিডেন্ট অরেলিও ডি লরেন্তিস। জুভেন্টাসের জেনারেল ডিরেক্টর গিসেপ্পে মারোত্তাও বলেছিলেন, তারা এই বড় অঙ্কের রিলিজ ক্লজ পরিশোধে আগ্রহী নয়। সে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ঠিকই ক্লাব ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে ২৮ বছর বয়সী এ স্টাইকার। প্রিয় তারকাকে ধরে রাখতে ক্লাবের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের বাইরে লরেন্তিসের বিপক্ষে প্রতিবাদও করে নাপোলির সমর্থকরা।

নাপোলিকে দুটি সিরি আ, ইতালিয়ান কাপ, উয়েফা কাপের শিরোপা এনে দেওয়া ম্যারাডোনার অনুভূতি, দলবদলের বাজারে ব্যবসার কাছে ক্লাব সমর্থকদের দাবি উপেক্ষিত। অবশ্য হিগুয়েইনকে দোষারোপ করছেন না আর্জেন্টাইন ‍ফুটবল ঈশ্বর।

নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ম্যারাডোনা লেখেন, ‘হিগুয়েইন ইস্যুটি (ক্লাব পরিবর্তন) আমাকে ব্যথিত করেছে। কারণ সে সরাসরি জুভেন্টাসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারি না। ’

‘একজন খেলোয়াড়ের নিজেকে নিয়ে দায়িত্ববোধ থাকে। এখানে ব্যবসায়িক দিকটিই দেখা হচ্ছে যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে যাচ্ছে। কেউই সমর্থকদের কথা ভাবে না। আমি একটি কথা বলতে বলতে ক্লান্ত যে বর্তমানে একটা বিষয় স্পষ্ট, একজন ভালো প্রেসিডেন্ট (ক্লাব) হওয়ার চেয়ে ভালো ব্যবসায়ী হওয়াটাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের সময়ে ছিল না। দুঃখজনক যে এই বিষয়টি নিয়ে ফিফা এখনো ঘুমিয়ে আছে। ’-যোগ করেন ৮৬’র বিশ্বকাপ জয়ী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।