ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

গোলের জোয়ার নেই, চলছে খরা!

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৬
গোলের জোয়ার নেই, চলছে খরা! ছবি: অনিক খান

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: গোল ছাড়া জমে না ফুটবল। ফুটবল মানেই তো গোলের খেলা।

গোল হবে, দর্শকরা উন্মাদনায় ভাসবেন। উল্লাস ধ্বনিতে কাঁপিয়ে তুলবেন গ্যালারি। ঘরে ফিরবেন রোমাঞ্চিত মন নিয়ে।

কিন্তু চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ময়মনসিংহ পর্বের তিনটি ম্যাচে গোল খরা দৃশ্যমান ছিল। এ তিন খেলায় গোল হয়েছে সাকুল্যে চারটি।

তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটের সংখ্যাই ছিল বেশি। শক্তিশালী ক্লাবগুলোও ঠিক মতো নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে পারছে না। তারা প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পারছে না। ফলে নিজের দলকেই ভুগতে হচ্ছে।

এমন চিত্রপটে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন খেলা দেখতে ভিড় করা দর্শকরা। গোলের জোয়ারের বদলে উল্টো সামনের খেলাগুলোতেও গোল খরা অব্যাহত থাকলে আকর্ষণ হারাবে এ লিগ-এমন অভিমত জানিয়েছেন স্টেডিয়ামমুখী দর্শকরা।  

রোববার (০৭ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ও টিম বিজেএমসি’র মধ্যকার ম্যাচটিও ১-১ গোলে ড্র হয়। উদ্বোধনী ম্যাচে শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনী গোলশূন্য ড্র করেছিল।

আর দ্বিতীয় ম্যাচে টপ ফেভারিট শিরোপাধারী শেখ রাসেল সবাইকে অবাক করে ভাগ্য দোষে প্রতিপক্ষ ফেনী সকার ক্লাবের কাছে হেরে যায় ২-০ গোলে।

গোল খরা নিয়ে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিনটি ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৬টি দলের কোচদের কেউ কেউ ভাগ্য, কেউ গরমসহ বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করেছেন। মাঠে আসা দর্শকদের মন জয় করতে পারছেন না তারা। কোচদের কেউ কেউ ময়মনসিংহের নতুন পরিবেশ নিয়ে ইঙ্গিত করলেও চট্টগ্রাম পর্বেও তারা না কী একই রকম মন্তব্য করেছিলেন।

এ নিয়ে হতাশ দর্শকদের কেউ কেউ বলছেন, ‘প্রতিটি দলের সেরা খেলোয়াড়রা জ্বলে উঠবেন এমন ভাবনা ছিল আমাদের। কিন্তু তারা দর্শকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফুটবলশৈলী উপহার দিতে পারছেন না। আর এ কারণে তারা যেমন নিজেরাও প্রতিপক্ষের জালের নাগাল পাচ্ছেন না, তেমনি দলকেও জেতাতে পারছেন না। ’

খেলা দেখতে মাঠে আসা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থক শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের দু’শিক্ষার্থী জানান, ‘গোল উৎসবের খেলা ফুটবল। কিন্তু চলতি লিগে খেলা দেখে মনে হচ্ছে জেতার ইচ্ছা নিয়ে কোনো দল মাঠে নামছে না। কে কতটুকু ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলবে এমন ভাবনাই সম্ভবত তাদের পেয়ে বসেছে। আর গাটের টাকা খরচ করে টিকিট কেটে খেলা দেখে হতাশ মন নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। ’

আবার আশাবাদী বক্তব্য শোনা গেলো ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের এক ছাত্রের কণ্ঠে। তার ভাষ্যে, ‘গত দু’টি ম্যাচ নিষ্প্রাণ মনে হলেও মোহামেডান আর বিজেএমসি ফুটবলশৈলীর স্বাক্ষর রেখেছে। শেষ দিকে দু’দল ডিফেন্সিভ খেলেছে। ’

সামনের ম্যাচগুলোতে সেরা দলের সেরা খেলোয়াড়রা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করবেন বলেও আশাবাদী এ তরুণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগষ্ট ০৭, ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।