ঢাকা: ‘গেল তিনটি ম্যাচে আমার রক্ষণভাগ খুব ভালোভাবে দেখা হয়নি। মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা ভালো খেললেও রক্ষণভাগ নিয়ে আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের কিশোরীদের চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্সে রীতিমতো মুগ্ধ এদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কৃষ্ণা, অনুচিংদের ক্রীড়া নৈপুন্য দেখে এদেশের ফুটবল নিয়ে আবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন খোদ ফুটবল কর্মকর্তা থেকে করে ফুটবল বোদ্ধারাও।
টুর্নামেন্ট শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। তিনটি ম্যাচেই লাল-সবুজের কিশোরীরা জয় তুলে নেয়। ১৮টি গোল করার পরেও কোনো গোল হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। তারপরও গোল ব্যবধানের হিসেব কষতে গিয়ে হয়তো ছোটন তার ডিফেন্সকে আরও শান দিয়ে রাখতে চাইছেন।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই টুর্নামেন্টের ফেবারিট ইরানকে ৩-০তে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৫-০তে এবং তৃতীয় ম্যাচে কিরগিজস্তানকে ১০-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজরা।
নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় কৃষ্ণাদের সামনে এই আসরের আরেক দুর্দান্ত দল চাইনিজ তাইপে। তাইপের বিপক্ষে সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন দিকপালরা।
এদিনের অনুশীলনে মার্জিয়া, সানজিদারা বিকেলে বাফুফের কৃত্তিম টার্ফে প্রথমেই হালকা ওয়ার্ম আপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের অনুশীলন। শারীরিক ভাবে রিলাক্স থাকতে খেলেছেন হ্যান্ডবল।
চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ম্যাচ বলেই ছাত্রীদের এদিন কিছুটা হালকা রেখেছেন গুরু গোলাম রব্বানি ছোটন। কেননা বাংলাদেশের মতো চাইনিজ তাইপেও টানা তিন ম্যাচে তুলে নিয়েছে তিনটি জয়।
২৭ আগস্ট নিজেদের প্রথম ম্যাচে কিরগিজস্তানকে ৭-১ গোলে গুড়িয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫-০ এবং তৃতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে দিয়েছে ৯-০ গোলে। ২১টি গোল করার পাশাপাশি তারা একটি গোল হজম করেছে।
মূলপর্বে খেলতে তাই ম্যাচটিতে জয়ের কোনো বিকল্পই নেই কৃষ্ণাদের সামনে। যেহেতু ছয়টি দল থেকে মূলপর্বে উঠবে মাত্র ১টি দল, তাই ড্র করলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে চাইনিজ তাইপে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি