গত বছর ইউরো জয়ের মিশনে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের এই প্রাণভোমরার দলে ছিলেন ২৪ বছর বয়সী মারিও।
তবে, বিষয়টি যে মোটেই সহজ নয়, সেটিও জানেন মারিও। রোনালদোর ট্রান্সফার প্রসঙ্গে মারিও জানান, ‘আমি রোনালদোকে ইন্টারে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি। এটা কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়। তবে, আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালাবো রোনালদোকে আমার ক্লাবে নিয়ে আসার জন্য। প্রতিটি পর্তুগিজ ফুটবলার বিশ্বসেরা। কিন্তু, রোনালদো বিশেষ কিছু। অবশ্যই তিনি দেশের জার্সিতে জাদুকর। জাতীয় দলে আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ’
২০০৪ সালের পর দীর্ঘ এক যুগ ধরে পর্তুগিজরা যে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছিল তার অবসান হয়েছে ইউরোর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারানোর মধ্য দিয়ে। ইউরো কাপে ২০০৪ সালে নিজেদের মাটিতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে গ্রিসের বিপক্ষে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল পর্তুগাল। নিজের প্রথম আসরে দলকে ফাইনালে তুলতে দারুণ সাহায্য করেছিলেন তখনকার ১৯ বছরের তারুণ রোনালদো। সেই ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর তরুণ রোনালদোর কান্না তার ভক্তদের হৃদয়বিদীর্ণ করেছিল। ১২ বছর পর সেই রোনালদোর হাত ধরেই ইউরো জেতে পর্তুগিজরা।
রোনালদোর নেতৃত্বাধীন পর্তুগাল ফাইনালে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে এই শিরোপা জেতে। তবে, চোট পেয়ে ফাইনাল ম্যাচের ২৪ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পর্তুগাল অধিনায়ককে। মারিওর মতে, ‘মাঠে না থাকলেও এই ম্যাচে বেশ ভালোভাবেই ছিলেন পর্তুগাল অধিনায়ক! অতিরিক্ত সময় শুরু হওয়ার আগে মাঠে এসে প্রত্যেক সতীর্থকে জড়িয়ে ধরে প্রেরণা দিয়ে গেছেন। পর্তুগাল গোল করার পর তো রীতিমতো ‘কোচ’ই বনে গেলেন, ডাগআউটে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিতে থাকেন সতীর্থদের। ’
রোনালদো প্রসঙ্গে মারিও আরও জানান, ‘তিনি একজন ভালো বন্ধু, একজন ভালো সতীর্থ। শুধু তাই নয়, তিনি একজন ভালো মানুষ এবং জন্মগত নেতা। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি প্রতিটি সদস্যের দেখভাল করতে পারেন। ’
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ২৩ ম্যাচ খেলা মারিও গত বছর যোগ দিয়েছেন ইন্টারে। ৪৫ মিলিয়ন ইউরোতে ইন্টারে নাম লেখানোর আগে খেলেছেন রোনালদোর সাবেক ক্লাব স্পোর্টিং সিপিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি