ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

লুডো খেলে সময় কাটান মেসি-সুয়ারেজরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
লুডো খেলে সময় কাটান মেসি-সুয়ারেজরা মাঠের ‍বাইরে লুডো খেলে সময় কাটান মেসি-সুয়ারেজরা/ছবি: সংগৃহীত

বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের জীবনযাপনের গোপন খবর প্রকাশ করেছেন দলের ক্রোয়েশিয়ান তারকা ইভান রাকিটিচ! অ্যাওয়ে ট্যুরে সবাই কীভাবে সময় কাটায় তারই অজানা কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এটা কিন্তু মোটেও গ্ল্যামার এবং পার্টিতে ব্যস্ত থাকার খবর নয়।

স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা নাকি বোর্ড গেম লুডোর বড় ভক্ত। অ্যাওয়ে ট্রিপে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ সতীর্থদের সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ের মতোই লুডোতে ব্যস্ত সময় পার করেন।

প্রায়ই বোর্ড গেমে মেতে ওঠে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে টিম বার্সা এবং যেখানেই সম্ভব পার্টি পরিহার করে।

তা কাতালানদের এই সংস্কৃতির শুরু কখন থেকে। বার্সার সাবেক সফল কোচ পেপ গার্দিওলার সময়েই এর সূত্রপাত। লুইস এনরিকের মাল্টি-মিলিওনিয়ার স্কোয়াড চাইলেই তো নিজেদের ইচ্ছেমতো সময় অতিবাহিত করতে পারে। কিন্তু কখনও কখনও জীবনের সহজ জিনিসটিই অনেক আনন্দ বয়ে আনে।

বলা বাহুল্য, ন্যু ক্যাম্পে তারকাসমৃদ্ধ বার্সা টিমের বন্ধন চোখে পড়ার মতোই। ‘এমএসএন’ ত্রয়ী (মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার) এর বড় উদাহরণ। যাকে ফুটবল ক্রীড়াজগতের উজ্জ্বলতম স্পটলাইট বললেও ভুল হবে না!

তাদের কাছে, অ্যাওয়ে ট্যুরের দিনগুলোতে একটা দল হিসেবে একত্রে থাকা, গান শুনে এবং বিশ্ব থেকে দূরে সরে নিজেকে ‍আলাদা করে রাখা নয়। রাকিটিচের কথায়, বার্সায় সবার একসঙ্গে বোর্ড গেম খেলার কালচার বিদ্যমান এবং এতেই সবাই প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ধরে একে অপরকে সঙ্গ দেয়।

এক সাক্ষাৎকারে মিডফিল্ডার রাকিটিচ বলেন, ‘আমার যখন ভ্রমণ করি, সবসময়ই লুডো খেলি এবং এরপর একে অপরের সঙ্গে মজা করি। পেপে কস্তা, মেসি, সুয়ারেজ ও মাশ্চেরানো এক টিমে আর ইনিয়েস্তা, বুসকেটস, আলবা ও আমি অন্য টিমে। এটা গার্দিওলার সময়ের শেষ মৌসুম থেকে শুরু হয়েছিল। এটা মজার, কানে হেডফোন দিয়ে এবং বাস অথবা প্লেনে নিজেকে বন্ধুদের চেয়ে পৃথক করে রাখার চেয়ে ভালো। সম্প্রতি আমরা কাতারে গিয়েছিলাম এবং ছয় ঘণ্টা অতিবাহিত করেছি এই গেমটি খেলেই। ’

মানুষের ভাবনার চেয়েও একজন পেশাদার ফুটবলাদের জীবন কম গ্ল্যামারাস বলে অভিহিত করেন রাকিটিচ। তার দাবি, বার্সেলোনা তারকারা প্রায়ই পার্টিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পরিহার করে, ‘আমি জানি মানুষ মনে করে, একজন ফুটবলারের জীবন জড়িত গ্ল্যামার, ক্রেজি পার্টিতে... কিন্তু সম্প্রতি সুয়ারেজ আমাকে তার ৩০তম জন্মদিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং এটা ছিল একই রকম যেন যে কেউই আমাকে আমন্ত্রণ জানাবে আমি সেখানে উপস্থিত থাকবো, বসবো, ডিনার করবো, কথা বলবো, কিছু মজা করবো এবং এতেই সব সীমাবদ্ধ। ’

‘মেসি, সুয়ারেজ ও আমি সহ বার্সার বেশিরভাগ খেলোয়া‌ড় পরিবারের সদস্যদের মতো এবং পার্টি ও বার পরিহার করে চলে। ’-যোগ করেন রাকিটিচ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।