গত বছরের জুলাইয়ে কর ফাঁকির মামলার রায়ে মেসি ও তার বাবা হোর্হে মেসিকে ২১ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন স্পেনের আদালত। জরিমানার হার যথাক্রমে ২ মিলিয়ন ও ১.৫ মিলিয়ন ইউরো।
২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দেন মেসিরা। যে কারণে গত বছর জরিমানার পাশাপাশি মেসিকে ২১ মাস ও তাঁর বাবাকে ১৫ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অবশ্য বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন আইকনকে একদিনের জন্যও জেলে যেতে হয়নি। মেসির বাবার জেলের স্থগিত সাজা কমিয়ে ১৫ মাস নির্ধারণ করা হয়।
স্পেনের আইন অনুযায়ী প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে, অপরাধটা যদি অহিংস হয় এবং দুই বছরের কম কারাদণ্ড থাকে সেক্ষেত্রে জেলে যেতে হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ থেকে ২০০৯ এ সময়ে ৪.১ মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকির জন্য মেসি ও তার বাবাকে অভিযুক্ত করে স্প্যানিশ কর অফিস। এরপর তা আদালতে গড়ায়। ছবি স্বত্ব ও বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর চুক্তি বাবদ আয়ের অর্থের ওপর কর পরিশোধে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্তসহ কয়েক দফা শুনানির পর রায় ঘোষণা করা হয়। তবে, গত বছর শুনানি চলাচলে মেসি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। জোর দিয়ে বলেন, ফুটবল খেলাতেই তার পূর্ণ মনোযোগ ছিল। সবকিছু দেখভাল করেন তার বাবা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে প্রায় দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালতের বিচারক প্যানেল। আপিলের রায়েও মেসির ২১ মাসের স্থগিত জেলের শাস্তিটা বহালই থাকে।
কিন্তু অভিযোগটা যখন উঠেছিল, তখনই বকেয়া করের পুরো টাকা পরিশোধ করে দেন মেসি। সেটি বিবেচনায় নিয়েই প্রতিদিন ৪০০ ইউরো হিসেবে নির্ধারিত হয় ২১ মাসের জরিমানার অঙ্ক। আদালতের সম্মতিতে এবার মেসি সেই চিন্তা থেকেও মুক্তি পেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই ২০১৭
এমআরপি