এমন অভিযোগই দাঁড় করিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বেতন-বোনাসের বাইরে ট্রান্সফার ফি ও ট্যাক্স পরিশোধে ব্যর্থতার কথাও উঠে এসেছে।
এএফসির কাছ থেকে সতর্কবার্তার চিঠি পেয়েছে চাইনিজ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (সিএফএ)। সিএফএ এটি প্রকাশ করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ১৫ আগস্টের মধ্যে অভিযুক্ত ক্লাবগুলো সমস্যাটি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে এএফসি’র অধীনে সব টুর্নামেন্টে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং চাইনিজ সুপার লিগের পরবর্তী মৌসুমে অংশ নিতে পারবে না।
কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব সিএফএ’র কাছে প্রসঙ্গিক প্রমাণাদি উপস্থাপন করারও অঙ্গীকার করেছে। এ তালিকায় অন্যতম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুয়াংঝো এভারগ্রান্ডে, ট্রান্সফার উইন্ডোতে ঝড় তোলা সাংহাই এসআইপিজি, সাংহাই শেনহুয়া।
শেনহুয়াতে খেলছেন আর্জেন্টাইন তারকা কার্লোস তেভেজ। অন্যদিকে, চেলসি থেকে ব্রাজিলিয়ান তারকা অস্কারকে ভাগিয়ে এনে মূলত হইচই ফেলে দেয় সাংহাই এসআইপিজি। প্রসঙ্গত, সুপার লিগের ১৩টি ক্লাব চিঠিতে থাকা চাইনিজ ফুটবলের শীর্ষ তিনটি বিভাগের ১৮টি দলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে, সংকট এড়াতে ইতোমধ্যেই চেষ্টা শুরু করেছে চীন সরকার। দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের দলগুলোর অভিযোগ, যুব উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ না করে বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার চুক্তি করে ‘অর্থ জ্বালানো’ হচ্ছে। খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোর অযৌক্তিক ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম