উল্টোদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বড় অঙ্কের চুক্তির পক্ষে সাফাই গাইছেন ‘স্বঘোষিত স্পেশাল ওয়ান’। এই ট্রান্সফার উইন্ডোতেই রোমেলু লুকাকু ও ভিক্টর লিন্ডেলফকে সাইন করাতে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ করেছে রেড ডেভিলসরা।
ম্যানইউর কোচ মরিনহো এখন বলছেন, দলবদলের বাজারে খেলোয়াড় কিনতে ক্লাবগুলোর মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফার ফি ফুটবলের জন্য হুমকিস্বরূপ। তার মতে, শীর্ষ পর্যায়ের ট্যালেন্টরা অতিরিক্ত ফি দাবি করবে এটাই স্বাভাবিক। বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে পেতে পিএসজির ১৯৬ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাবকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করান তিনি।
অন্যদিকে, মোনাকো থেকে উদীয়মান এমবাপ্পেকে পাওয়ার রেসে রিয়াল মাদ্রিদকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ম্যানচেস্টার সিটি। ১৮ বছরের ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের ট্রান্সফার ফি নাকি ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে ঠেকতে পারে। ভাবা যায়! এ তালিকায় সম্ভাব্য আরও বড় নামের মধ্যে আছেন আলেক্সিস সানচেজ, ফিলিপ্পে কুতিনহো, মার্কো ভেরাত্তি, পাওলো দিবালার মতো প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়রা।
মরিনহোর কথায় ক্লাবগুলো এখন বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে ইচ্ছুক যেটি খেলোয়াড়ের প্রকৃত মূল্যের সঙ্গে প্রতিফলিত নয়, ‘আমি সব সময়ই ভাবি এ ধরনের খেলোয়াড়ের জন্য আপনি কী পরিমান ব্যয় করছেন তা সমস্যা নয়, পগবার জন্য যা খরচ করা হয়েছে সেটিকেও আমি সমস্যা মনে করি না, আমি মনে করি না নেইমারের জন্য অবিশ্বাস্য ট্রান্সফার ফি কোনো সমস্যা। ’
‘আমি মনে করি সমস্যাটা হচ্ছে অন্য গ্রুপে, যেটি একটি বড় গ্রুপ কারণ পগবার মতো এখানো প্রতি ট্রান্সফার উইন্ডোতে একটি বা দু’টি ট্রান্সফার হয়ে আসছে। অন্য দিকটি হচ্ছে যেখানে ১০০টি ট্রান্সফার হচ্ছে এবং আমার কাছে এটি মার্কেটে বিপজ্জনক জায়গা। ’-যোগ করেন মরিনহো।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি’তে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথাই তুলে ধরেন মরিনহো। যেখানে প্রাক মৌসুমের ইভেন্ট ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে (আইসিসি) বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ম্যানইউ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে মরিনহোর শিষ্যরা। রিয়াল আবার মরিনহোর সাবেক ক্লাবও বটে। অপর ম্যাচে নেইমারের জোড়া গোলে জুভেন্টাসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে কাতালানরা। পিএসজি গুজবের মাঝে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্লাবের জন্য তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে ২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে এসেছেন।
ট্রান্সফার ইস্যু নিয়ে মরিনহো আরও বলেন, ‘কিছু ক্লাব ব্যয় করছে অথবা তারা কিনছে না কারণ তাদের ওই পরিমান সামর্থ্য নেই যেটি এখন মার্কেট শাসন করছে। এটি করতে হলে পিছিয়ে পড়াদের ওই লেভেলে যেতে হবে এবং আমাকে এটাই কিছুটা উদ্বিগ্ন করছে কারণ আমরা এখন খুব সহজেই ৩০ মিলিয়ন, ৪০ মিলিয়ন, ৫০ মিলিয়ন ইউরোর কথা বলছি। আমি মনে করি না এটা আদৌ বড় ক্লাবগুলোর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কারণ বড় ক্লাবগুলোর সব সময়ই এ পরিমান অর্থের যোগান দেওয়ার সম্ভাবনা ও শর্ত থাকে এবং এটা তাদের কাছে কোনো সমস্যা নয়। ’
‘অন্য ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে যখন তারা অনুধাবন করবে অর্থটা আসছে এবং চলে যাচ্ছে। আমি এও মনে করি যে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) অথরিটিকে এটি নিয়ে বড় কাজ করতে হবে। বড় কাজ বলার কারণ সম্ভবত এখানে কিছু কৌশলগত প্রতিবন্ধকতা লুকিয়ে রয়েছে কিন্তু আমাকে বিশ্বাস রাখতে হবে এএফপি কঠিন কাজটিই করবে। ’-যোগ করেন মরিনহো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম