মেসির প্রতি ফুটবলের সুপার-এজেন্ট খ্যাত মিনো রাইওলার উপদেশ, ‘বার্সেলোনা ছেড়ে নিজের গ্রেটনেস প্রমাণ করো’। তার বিশ্বাস, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর এখনই অন্যত্র নিজের ভাগ্য অনুসন্ধান করা উচিৎ।
বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে রাজি হলেও এখনো তাতে অফিসিয়ালি সই করেননি। এতেই শৈশবের ক্লাবে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তার গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাকে বাগিয়ে আনতে বরাবরের মতোই উঠে আসছে ম্যানচেস্টার সিটির নাম। সিটিজেনদের দায়িত্বভার আবার সাবেক বার্সা কোচ পেপ গার্দিওলার কাঁধে।
সম্প্রতি গার্দিওলা তো বলেই দিয়েছেন, মেসির দলবদলও সম্ভব। ৩০০ মিলিয়ন বাইআউট ক্লজ কেউ না কেউ দিতে পারে। ইঙ্গিতটা নিশ্চয়ই ম্যানসিটির দিকে। এবারের দলবদলের বাজারে সব রেকর্ড উলটপালট করে প্যারিসে উড়াল দিয়েছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনকে পেতে ২২২ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হয়েছে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের। যা আগের ট্রান্সফার রেকর্ডের (পল পগবা ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানইউতে) চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
এখনো নেইমারের শূন্যস্থান পূরণে তার যোগ্য উত্তরসূরি আনতে পারেনি বার্সা। হাতে সময় খুব বেশি নেই। ট্রান্সফার উইন্ডোর ডেডলাইন ৩১ আগস্ট। শেষ পর্যন্ত প্রধান টার্গেট লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ্পে কুতিনহো ও বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের উঠতি ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড ওসমান ডেম্বেলেকে পাওয়া হবে কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়!
বিশেষ করে অল রেডসদের একটাই কথা ‘কুতিনহো নট ফর সেল’। তার জন্য তিন দফায় বিড করেও হতাশাই সঙ্গী হয়েছে বার্সার। তাই বিকল্প ভাবনায় আছেন পিএসজির সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া।
বার্সাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে নতুন সাইনিংয়ের বিকল্প নেই। সার্জিও বুসকেটসও এই কথাটা বলেছিলেন। বার্সা ব্যর্থ হলে এর প্রভাব পড়বে মেসির কাঁধে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আর্জেন্টাইন আইকনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল কাতালানরা। কিন্তু পাশে জাভি-ইনিয়েস্তা-নেইমারদের মতো কেউ না থাকলে একা এই ভার কতটা বইতে পারবেন ৩০ বছর বয়সী মেসি?
তাইতো মেসিকে বার্সা থেকে বিদায় নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন রাইওলা। মেসির এজেন্ট না হলেও অনেক তারকা খেলোয়াড়ের প্রতিনিধি ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত ডাচম্যান। এর মধ্যে আছেন পল পগবা, রোমেলু লুকাকু, মার্কো ভেরাত্তি, হেনরিখ এমখিতারিয়ান ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। তার চোখে পরিবর্তনের এটাই উপযুক্ত সময়।
স্প্যানিশ জনপ্রিয় ক্রীড়া দৈনিক মার্কা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইওলা বলেন, ‘মেসির মতো একজন খেলোয়াড়ের অবশ্যই ভিন্ন ক্লাবের হয়ে আরেকটি অভিজ্ঞতার চেষ্টা করতে হবে এবং সে কতটা গ্রেট তা প্রমাণ করা উচিৎ। বার্সাকে অবশ্যই পুনরাবিষ্কৃত হতে হবে। ’
২০০৪ সালে বার্সার মূল দলে অভিষেক হয় সে সময়ের ‘বিস্ময়বালক’ মেসির। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজেকে নিয়ে গেছেন সেরাদের সেরা কাতারে। ক্লাবের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার কাতালানদের ২৯টি ট্রফি জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। যার মধ্যে আছে আটটি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম