বাঁচা-মরার এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে মেসির আর্জেন্টিনা। সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে চার নম্বরে থাকতে হবে।
গত ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে টেনে তুলেছিলেন মেসি। জার্মানির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল আর্জেন্টাইনদের। এরপর কোপা আমেরিকার ফাইনালেও উঠেছিল মেসি বাহিনী। স্বাগতিক চিলির কাছে সেবার হেরে রানার্সআপ হতে হয় ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের। কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরেও ফাইনালে ওঠেছিল মেসির দল। সেবারও সেই চিলির বিপক্ষে হেরে হতাশ হতে হয় মেসিকে। আগেরবার চিলির কোচ ছিলেন আর্জেন্টাইন জর্জ সাম্পাওলি। পরের বার সেই চিলির কোচ ছিলেন হুয়ান অ্যান্তোনিও পিজ্জি। তিনিও কিন্তু আর্জেন্টাইন কোচ, খেলেছেন স্পেনের জাতীয় দলে।
হতাশা থেকে মেসি জাতীয় দলকে বিদায় জানান। পরে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া সে সময়কার আর্জেন্টিনার কোচ এদগার্দো বাউজা মেসিকে অনেক বুঝিয়ে আবারো জাতীয় দলে ফেরান। বাউজার পর আর্জেন্টিনার হাল ধরার চেষ্টা করেই চলেছেন আরেক আর্জেন্টাইন কোচ সাম্পাওলি।
এবার জিততে না পারলে বিশ্বকাপ-স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনার। যাদের বিপক্ষে মাঠে নামবেন মেসি, তারাও এক আর্জেন্টাইন কোচের ছাত্র। ইকুয়েডরের কোচ হিসেবে মেসির প্রতিপক্ষ হয়ে ডাগআউটে থাকছেন ৫৩ বছর বয়সী জর্জ সেলিকো।
সেলিকোকে নিয়োগ দেওয়ার পর ইকুয়েডর খেলেছে একটি ম্যাচেই। তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে চিলির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ইকুয়েডর। সেখান থেকেই বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে দেশটির। বাকি শুধু এখন মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি। সেলিকোর সামনে তাই নিজ দেশের স্বপ্ন বেঁচে থাকার ম্যাচ কিংবা নিজের দলের কিছু অর্জনের ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি