ইতালিয়ান কিংবদন্তি ফ্রান্সেসকো টট্টি যেমন বলেছেন মেসি, নেইমার ও রোনালদো ফুটবলের এলিয়েন। ইউক্রেন আইকন আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর চোখে তিনজনই সেরা হওয়ার দাবিদার।
বর্তমানে নিজ দেশ ইউক্রেন জাতীয় দলের কোচ শেভচেঙ্কো। খেলোয়াড়ী জীবনে ডায়নামো কিয়েভ, এসি মিলান ও চেলসির জার্সিতে ট্রফিসমৃদ্ধ ক্যারিয়ার পার করেন নিজের প্রজন্মের অন্যতম সেরা এ সাবেক স্ট্রাইকার।
আগামী ২৩ অক্টোবর (সোমবার) বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। গতবার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সেরা তিনে ছিলেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান। এবার ২৪ জনের তালিকা থেকে তিনজনের চূড়ান্ত লিস্টে নাম লিখিয়েছেন ২০১৫ ফিফা ব্যালন ডি’অরের তৃতীয় স্থানধারী নেইমার। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা ও মেসিকে ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন।
‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার’ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে ২০০৩ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী শেভচেঙ্কোর অভিমত, ‘এই তিনজন অবিশ্বাস্য খেলোয়াড় এবং সবাই এই পুরস্কারের প্রাপ্য। আমি মনে করি, যদি আপনাকে একজনকে পছন্দ করতে হয় তবে সে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ও ফাইনালে জোড়া গোল করা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ’
‘লিওনেল মেসি একজন চমৎকার খেলোয়াড় এবং একটি গ্রেট সিজন কাটিয়েছে। লিগে সে খুবই ভালো খেলেছে, গোল করেছে। আমি নেইমারকে নিয়ে খুশি কারণ গত পাঁচ বছর বড় প্রতিযোগিতা ছিল মেসি ও রোনালদোর মধ্যে। এখন নেইমার এসেছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে ভালো করছে। সে প্রচুর গোল করে যাচ্ছে এবং টেকনিক্যাল স্কিল অসাধারণ। তার খেলা দেখাটা দারুণ। ’
এসি মিলান লিজেন্ড আরও বলেন, ‘রোনালদো ও মেসির স্কোরিং রেকর্ড অবিশ্বাস্য। এ দু’জনের মতো অন্য কেউ এতো স্কোর করেছে কিনা আমার জানা নেই। তারা দলের বড় লিডার এবং সবসময়ই পারফর্ম করছে। গ্রেট খেলোয়াড় তারা। ’
‘সবসময়ই খেলোয়াড়ের ওপর চাপ থাকবে যাকে পারফর্ম ও গোল করতে হবে। মেসি, রোনালদো ও নেইমার শুধু গোলই করছে না, তারা টিমের লিডারও বটে। এই তিনজন নিজ নিজ দলকে শিরোপা জেতাতে সাহায্য করতে পারে। ’-যোগ করেন শেভচেঙ্কো।
ফ্রেঞ্চ সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’র সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর গত বছর ভেঙে যায় ফিফা ব্যালন ডি’অর। আলাদাভাবে বছরের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করে দু’পক্ষ। আগের ব্যালন ডি’অরে ফিরে আসে ফ্রান্স ফুটবল। ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ নাম পরিবর্তন করে ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার’ নামকরণ করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর প্রোগ্রামের নাম দেওয়া হয় ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’।
পরিষ্কার ফেভারিট ৩২ বছর বয়সী রোনালদোর গত মৌসুমটা কেটেছে স্বপ্নের মতো। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দীর্ঘ সময় পর লা লিগা (ঘরোয়া লিগ) পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ব্যাক-টু-ব্যাক ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেন সিআর সেভেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার প্রাণভোমরা মেসির ২০১৬-১৭ সিজনে একমাত্র দলীয় সাফল্য কোপা দেল রে। তবে নতুন মৌসুমে ফর্মের তুঙ্গে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও শিরোপা অর্জনের সুবিধা নিয়ে নির্ভার থাকতেই পারেন রোনালদো। মেসির রেকর্ড পাঁচটি ব্যালন ডি’অর ছোঁয়ার হাতছানি পর্তুগিজ সুপারস্টারের সামনে।
এদিকে সেরা কোচের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন জিনেদিন জিদান। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তির হাত ধরেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে রিয়াল। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন দুই ইতালিয়ান চেলসির অ্যান্তোনিও কন্তে ও জুভেন্টাসের ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম