ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ধর্ষণের অভিযোগে রবিনহোর ৯ বছরের জেল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
ধর্ষণের অভিযোগে রবিনহোর ৯ বছরের জেল ছবি: সংগৃহীত

যৌন হয়রানির দায়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিলানের আদালত। ইতালির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনসা’র (এএনএসএ) বরাত দিয়ে এমন খবরই প্রকাশ পেয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনাটি অনেক আগের। ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি মিলানিস নাইট ক্লাবে ২২ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে লাঞ্ছিত করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ছয় অপরাধীর একজন হিসেবে দোষী সাব্যস্ত সাবেক এসি মিলান তারকা।

 ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীকে ৬০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মিলানের হয়ে ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত খেলা রবিনহো বর্তমানে স্বদেশী ক্লাব অ্যাতলেতিকো মিনেইরোতে। গত জানুয়ারিতে ব্রাজিলের জার্সিতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

পরিবারের সঙ্গে নিজ দেশে থাকছেন রবিনহো। তাই এই অপরাধের জন্য তার জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। স্থানীয় আইন অনুযায়ী, ফৌজধারী অপরাধের সাজা ভোগ করতে অন্য দেশে কোনো ব্রাজিলিয়ান নাগরিককে হস্তান্তর করা যাবে না। অবশ্য দেশের বাইরে গেলে তা অকার্যকর এবং অন্যত্র আটক হতে পারেন।

রবিনহোর বর্তমান ক্লাব ইতালিয়ান আদালতে দেওয়া রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলেছে প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র দলের আইনজীবির সঙ্গে কথা বলবেন।

নিজের অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম পেজে একটি বিবৃতি দিয়ে আপত্তিকর ঘটনাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন রবিনহো। আপিলেল বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বিবৃতির ভাষ্য, ‘ফরোয়ার্ড রবিনহোকে ঘিরে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেটি কয়েক বছর আগে ঘটেছে, আমরা তার ব্যাখ্যা দিতে চাই। সে (রবিনহো) ইতোমধ্যেই এই অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে, নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে এই ঘটনার সঙ্গে সে সম্পৃক্ত নয়। ’

রবিনহোর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। ২০০৯ সালে ম্যানসিটিতে থাকার সময় একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি। ইয়র্কশায়ার পুলিশ লিডসের একটি নাইট ক্লাবে মারাত্মক যৌন হয়রানির কথা বলেছিল।

২০০২ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে পা রাখেন সে সময়ের সম্ভাবনাময় তরুণ। দ্যুতি ছড়িয়ে নজর কাড়েন ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের। তাকে ভাগিয়ে আনে রিয়াল মাদ্রিদ (২০০৫-০৮)। বার্নাব্যুতে তিন মৌসুম কাটিয়ে লোভনীয় প্রস্তাবে ২০০৮ সালে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে (২০০৮-১০)।

কিন্তু প্রচুর প্রতিভা স্বত্ত্বেও ‘উদাসীনতায়’ একটা সময়ে নামের সুবিচার করতে পারেননি রবিনহো। সঙ্গে ছিল শৃঙ্খলার ঘাটতি। ম্যানসিটি থেকে থিতু হন ইতালিতে, যেখানে যৌন হয়রানির অভিযোগে জড়ান। ম্যানসিটি (২০১০) ও মিলান (২০১৪-১৫) দুই ক্লাবেই শেষ সময়টায় সান্তোসে ধারের চুক্তি খেলেছিলেন।

২০১৫ সালে গুয়াংঝো এভারগ্রান্ডের জার্সিতে চাইনিজ ফুটবলে সংক্ষিপ্ত পথচলা শেষে চলে আসেন ব্রাজিলের বেলো হরিজেন্তে শহরে। গত দুই মৌসুমে অ্যাতলেতিকো মিনেইরোর গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন রবিনহো।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।