বুধবার ঘরের মাঠ সান্থিয়াগো বার্নাব্যুতে ফ্রেঞ্চ জায়ান্ট পিএসজিকে আতিথিয়েতা জানায় রিয়াল। স্বাগতিক দলের হয়ে অন্য গোলটি করেন মার্সেলো।
এদিন শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে রিয়াল। দলটির বেশ কয়েকটি আক্রমণ প্রতিহত হয়। তবে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে উল্টো আক্রমণে গোল খেয়ে বসে স্বাগতিকরা। কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রস থেকে নেইমার ব্যাকহিল করলে সেখান থেকে দুর্দান্ত একটি গোল করে রিয়াল শিবিরকে চুপ করিয়ে দেন সফরকারীদের মিডফিল্ডার রাবিওট।
ব্যবধান কমাতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি গ্যালাকটিকোরা। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোল করলে সমতা আনে রিয়াল। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি সিআর সেভেনের শততম গোল। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে নির্দিষ্ট একটি দলের হয়ে এমন নজির গড়লেন তিনি। চলমান আসরে টানা সাত চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচেও গোলের দেখা পেলেন তিনি।
বিরতির পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে প্রতিপক্ষের রক্ষণ। সাফল্য ধরা দেয় ৮৩ মিনিটে বদলি ফুটবলার মার্কো অ্যাসেনসিওর ক্রস থেকে পিএসজির গোলরক্ষক আরেওলা ফেরালেও ধরে রাখতে পারেননি, ফিরতি শটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। চলমান আসরে এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১১টি গোল হলো রোনালদোর। যেখানে এই প্রতিযোগিতায় মোট ১১৬টি গোলের মালিক তিনি।
৮৬ মিনিটে জয় নিশ্চিত করেন রিয়াল ডিফেন্ডার মার্সেলো। অ্যাসেনসিওর থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে ল জালে পাঠান অসাধারণ খেলা ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৩-১ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। আর কোয়ার্টারের পথে এগিয়ে থাকা রিয়াল শিবিরে উদযাপন শুরু হয়।
কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে হলে আগামী ৬ মার্চ প্যারিসে নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে ফিরতি লেগে কমপক্ষে ২-০ গোলে জিততে হবে নেইমার-কাভানিদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস