ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

কিয়েভের ফাইনালে লিভারপুল, পুড়লো রোম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
কিয়েভের ফাইনালে লিভারপুল, পুড়লো রোম ছবি-সংগৃহীত

বিজয় উদযাপনে মেতেছে পরাজিত আর বিষাদে ছেয়ে গেছে বিজয়ীর মুখ! এমনই দৃশ্যের অবতারণা ইতালির রাজধানী রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।

ইতালীয় ক্লাব রোমাকে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল। যদিও রোমার মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ৪-২ গোলের পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে অল রেডদের।

প্রথম লেগে ৫-২ গোলে পিছিয়ে থাকা রোমা বুুুধবার রাতে বেশ আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করেছিলো। তবে প্রথম লেগের মতো এদিনও প্রথম গোল হজম করতে হয় তাদেরই।

লিভারপুলের গতিময় পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৮ মিনিটেই রোমার ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন সাদিও মানে।

এরপর ১৪ মিনিটের মাথায় লিভারপুল আরো একটি গোল পেয়ে যায়, তবে তা আত্মঘাতী! রোমার স্ট্রাইকার এল শারাউয়ির গোলমুখী শট ফিরিয়ে দেন লিভারপুলের ডিফেন্ডার লভরেন। কিন্তু সেই বল মিলনারের মুখে লেগে চলে যায় লিভারপুলের নিজেরই জালে।

১-১ সমতায় ফিরে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ইতালীয় গ্ল্যাডিয়েটররা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়াম। তবে ম্যাচের ২৪ মিনিটে রোমাকে হতাশায় পুড়িয়ে ২-১ গোলে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন মিডফিল্ডার গিনি ভাইনাল্ডাম।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দলই আরো বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। প্রথম লেগে দুর্দান্ত খেলা সালাহ নিষ্প্রভ থেকে যান পুরো ম্যাচজুড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে রোমার জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় অন্তত চার গোল করলে ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। এমন কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে দুরন্ত শুরু করে রোমা। ৫১ মিনিটে এডিন জেকো গোল করে দলকে এনে দেন ২-২ সমতা।

৭-৩ এগ্রিগেটে এগিয়ে থাকা লিভারপুল সময় গুণে গুণে রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে আলেকজান্দার কোলারভের গোলে আশা ফিরে আসে রোমার শিবিরে। ম্যাচে তখন ৩-২ গোলে এগিয়ে রোমানরা।

তবে নির্ধারিত সময়ের খেলায় আর কোনো গোল না হলেও যোগ করা সময়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে ম্যাচে নাটকীয়তা নিয়ে আসেন রেফারি। ম্যাচ তখন ৯৩ মিনিটে, আর কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা শেষ বাঁশির। এমন সময় লিভারপুলের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ডিফেন্ডার রাগনার ক্লাভানের হাতে বল আলতো করে ছুঁয়ে গেলে পেনাল্টি পায় রোমা। নাইঙ্গোলান সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ৪-২ গোলে।

তবে এরপর শেষ বাঁশি বেজে উঠলে ম্যাচে হেরেও উদযাপনে মেতে ওঠে লিভারপুলের খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে রোমার খেলোয়াড়দের মুখে তখন রাজ্যের হতাশা। কেননা দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের খুব কাছে এসেও ফিরে যেতে হলো তাদের।

পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে উড়তে থাকা লিভারপুল বুধবার রাতে রোমার কাছে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেলেও ১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট সেই পরাজয়ের জ্বালা ভুলিয়ে দিয়েছে।  

আগামী ২৬ মে কিয়েভে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের মোকাবেলা করবে অল রেডরা। ৬ষ্ঠবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরার স্বপ্নে বিভোর লিভারপুলের সমর্থকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।