প্রতিবেশি দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বন্দ্ব থাকায়, তাদের সঙ্গে সামরিক শক্তিতে পাল্লা দেয়ার জন্য, দ.কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক পুরুষের ২১ মাসের সামরিক চাকরি বাধ্যতামূলক।
তবে এই ক্ষেত্রে দেশটির অ্যাথলেটদের জন্য কিছুটা শিথিলতা রয়েছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট দল টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলা স্ট্রাইকার সনের জন্য এবারই ছিল শেষ সুযোগ। কেননা ২৮ বছরের আগেই চাকরিতে বহাল হতে হয়। আর সনের বর্তমান বয়স ২৬।
এই বয়সে যদি সনকে সামরিক চাকরিতে যোগ দিতে হতো, তবে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে বড় ধরনের ধস আসতে পারতো। প্রায় দু’বছর পর ফিরে আগের মতো ফুটবল দক্ষতা হারিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। টটেনহামের মতো ক্লাব তাকে আর চাইবে কিনা রয়েছিল সেই সন্দেহও।
আর্থিক দিক দিয়েও ক্ষতিগ্রস্থ হতেন সন। বর্তমানে ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে তার ৩০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি। তবে সামরিক চাকরি করলে সেখান থেকে খুব বেশি আয় করতে পারতেন না।
এশিয়ান গেমসে মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে খেলা হয়। তবে তিন জন বয়স্ক ফুটবলারকে নেয় যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে সনের সঙ্গে আরও দুই সিনিয়র খেলেছেন।
তবে সোনা জিতে সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিলেন সন। এখন থেকে আবারও ফুটবল নিয়েই পড়ে থাকতে পারবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এমএমএস