খেলার প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটের সময় শেখ জামালের পক্ষে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ৯ নম্বর জার্সি পরিহিত লুসিয়ানো গোল করে এগিয়ে নেন। ৩৩ মিনিটের মাথায় অধিনায়ক সোলেমানের কর্ণার কিক থেকে কিরগিজস্থানের ফরোয়ার্ড ডেভিট গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন।
প্রথমার্ধে দুই গোল খাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে টিম বিজিএমসি নিজেদেরকে ঘুছিয়ে আক্রমণের মাধ্যমে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। খেলার মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৬২ মিনিটে ফরোয়ার্ড মামুনের আচমকা বাকানো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরের মিনিটেই উজবেকিস্থানের ফরোয়ার্ড ওটাবেকের ফ্রি কিক গোলে ঢোকার মুহূর্তে শেখ জামালের গোলরক্ষক নাঈম দলকে রক্ষা করেন।
৭৯ মিনিটে ৭নং জার্সি পরিহিত আবদুল্লাহ পারভেজের করা ফ্রি কিক রক্ষা করেন গোলরক্ষক।
৮৪ মিনিটের মাথায় বিজেএমসি অধিনায়ক নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইলিয়াছুর শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন শেখ জামালের গোলরক্ষক নাঈম। ৮৭ মিনিটের মাথায় ওটাবেকের ফ্রি কিক আবারও ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক নাঈম।
খেলার শেষ মুহূর্তে বিজেএমসির গোল করার আরেকটি প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। একাধিক গোল করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টিম বিজেএমসিকে।
লিগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ও মুক্তিযোদ্ধার কাছে হারেছিল শেখ জামাল। তৃতীয় ম্যাচে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ড্র। শেখ জামাল জিতে মোহামেডান, ব্রাদার্স ও মুক্তিযোদ্ধাকে টপকে উঠে গেলো সপ্তম স্থানে। তবে মাঠে নামার আগে শেখ জামালের মতোই তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট ছিল বিজেএমসির। হেরে বিজেএমসি পড়ে রইলো পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
এমএমএস