আমস্টারডাম অ্যারেনায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই জুভেন্টাসের রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিল আয়াক্স। ২য় মিনিটেই ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠে এসেছিলেন আয়াক্স মিডফিল্ডার ভ্যান দে বিক।
১১তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন জুভেন্টাসের প্রাণভোমরা রোনালদো। কিন্তু কর্নার কিক থেকে তার দারুণ ভলি অল্পের জন্য মিস হয়। ১৮তম মিনিটে গোলরক্ষক অয়েচিখ শ্চেজনির দৃঢ়তায় রক্ষা পায় জুভেন্টাস। এবার দারুণ গোছান এক আক্রমণ সাজান আয়াক্স ডিফেন্ডার ডেভিড নেরেস। কিবতু ডি-বক্সে ভেতর থেকে নেওয়া তার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন জুভ গোলরক্ষক।
আয়াক্সের গোছানো ফুটবলে খেই হারিয়ে ফেলা জুভেন্টাসকে স্বস্তি এনে দেন রোনালদো। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে কানসেলো অসাধারণ এক পাসে বল ডি-বক্সের দিকে পাঠিয়ে দেন আর তাতে ‘আনমার্ক’ অবস্থায় থাকা রোনালদো ডাইভ দিয়ে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। চলতি আসরে ৮ ম্যাচে এটি রোনালদোর পঞ্চম গোল।
রোনালদোর গোলের শোধ নিতে অবশ্য বেশি দেরি করেনি আয়াক্স। বিরতি থেকে ফেরার পরের মিনিটেই প্রায় একক প্রচেষ্টায় দলকে সমতায় ফেরান নেরেস। বাঁ প্রান্ত থেকে দৌড়ে গোলবারের ডান প্রান্তের দিকে তাক করে নেওয়া তার শট ঠেকানোর সাধ্য ছিল না অয়েচিখ শ্চেজনির।
ম্যাচের বাকি সময়টা শুধু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের। জমজমাট লড়াইটা যদিও শেষ হয়েছে সমতায়। তবু অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে কিছুটা এগিয়ে রইলো মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির শিষ্যরা। তুরিনে পরের লেগে আয়াক্সকে হারাতে পারলে তো ভালো, না পারলেও গোলশূন্য ড্র করতে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিতের সুযোগ থাকছে তাদের সামনে।
বাংলাদেশ সময় ০৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এমএইচএম