রেফারি সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করায় কয়েকদিন আগে উয়েফা কর্তৃক তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন নেইমার। যার কারণে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপা লিগে গ্রুপ পর্বের প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে রেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা খুইয়েছে পিএসজি। সেই ম্যাচ দিয়ে জানুয়ারির পর পিএসজির জার্সিতে প্রত্যাবর্তন ঘটে নেইমারের। কিন্তু ওই ম্যাচে নিজে গোল করলেও টাইব্রেকারে হেরে যায় গত চার আসরের চ্যাম্পিয়নদের বিদায় প্রত্যক্ষ করতে হয় তাকে।
ম্যাচ হেরে মেজাজ হারিয়ে বসেন নেইমার। সতীর্থদের সঙ্গে মাঠ থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় এক দর্শকের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক দর্শকের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে ঘুষি ছুড়ছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।
বিতর্কের মুখে নেইমার দাবি করেন, ওই দর্শক তাকে অপমান করেছিলেন। ২৮ বছর বয়সী সেই দর্শক নাকি নেইমারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘যাও এবং দেখে আসো কীভাবে ফুটবল খেলতে হয়। ’ আর তাতেই রেগে যান নেইমার। অবশ্য বক্তব্যটি অস্বীকার করেছেন ওই দর্শক। নেইমারদের ‘অকার্যকর’ না হতে বলেছিলেন বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে আরেকটি বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে নেইমারকে। ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুসারে ১.১৩ ধারায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।
অবশ্য শুনানির আগে নেইমার পাশে পাচ্ছেন বন্ধু অ্যালেক্স বার্নার্দোকে। সেই দর্শক পিএসজি খেলোয়াড়দের অপমান করছিলেন বলে জানান তিনি। এমনকি পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনকে উদ্দেশ্য করে নাকি ওই দর্শক ‘ডার্টি বুফন’ নামে চিৎকার করছিলেন।
ঘটনার পরপরই বাজে আচরণের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন নেইমার। নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কি খুব বাজে আচরণ করেছি? হ্যাঁ। কিন্তু কেউ উদাসীন থাকতে পারে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএইচএম