‘অল রেডস’দের বিপক্ষে বার্সেলোনার নেওয়া ৮টি শটে মেসির সরাসরি ভূমিকা ছিল। এর মধ্যে তার বানিয়ে দেওয়া বলে সুয়ারেজ, কৌতিনহোদের দুটি শট দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়েছেন লিভারপুলের গোলরক্ষক আলিসন।
সব বিচারেই চলতি মৌসুমে মেসিই সেরা। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এরইমধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৮ গোল করার পাশাপাশি ২২টি গোলে অ্যাসিস্ট আছে তার। চলতি মৌসুমে দলীয়ভাবে বার্সার ১৩০টি গোলের মধ্যে মেসি ৭০টি গোলে ভূমিকা রেখেছেন, শতকরা হিসেবে ৫৩.৮ শতাংশ! বার্সাকে লা লিগার চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে মেসির অবদান সবচেয়ে বেশি একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ ম্যাচে ১২ গোল করে চলতি মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতা মেসি। এই মেসির করা গোলে ভর করেই সেমি পর্যন্ত পা রাখতে সক্ষম হয়েছিল বার্সা। প্রথম লেগেও তিনি জোড়া গোল করে বার্সাকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। সর্বশেষ ম্যাচেও তিনিই একমাত্র বার্সা খেলোয়াড় যিনি লিভারপুলের রক্ষণে সত্যিকারের হানা দিতে সক্ষম হয়েছেন।
লিভারপুলের গোলমুখে বার্সার দেওয়া ৮টি শটেই মেসির সরাসরি ভূমিকার কথা আগেই বলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি শট ছিল দারুণ সুযোগ যা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন সুয়ারেজ, কৌতিনহো ও আলবা। সতীর্থদের কাছ থেকে এটুকু সহায়তা পেলেই এমন লজ্জায় ডুবতে হতো না বিশ্বসেরা ফুটবল তারকাকে।
ছোট কাঁধে যতটা চাপ নিয়েছেন মেসি, বার্সার বাকি সব সদস্য মিলেও তা করতে পারেননি। বারবার একাই দলকে টেনে নেবেন, তা হয়না। লিভারপুলের বিপক্ষে দলের বাকিদের পারফরম্যান্স একেবারেই বার্সাসুলভ ছিল না। বিশেষ করে ডিফেন্সের নড়বড়ে অবস্থা ছিল অতি দৃষ্টিকটু। শেষ গোলটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই একমত হবে যে তাতে বার্সার রক্ষণের ভূমিকাই ছিল মুখ্য।
তবে লিভারপুলের প্রশংসা না করলে আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ক্লপের শিষ্যরা ‘হেভি মেটাল’ ফুটবল উপহার দিয়েছে, যার কাছে আর্নেস্তো ভালভার্দের পরিকল্পনা ছিল একেবারেই সাদামাটা। সালাহ-ফিরমিনোদের ছাড়াই তারা যা করে দেখিয়েছে তাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স বলাই যায়। তাতেও অবশ্য মেসির গরিমা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ক্লাব হিসেবে বার্সার সঙ্গে তুলনীয় হতেই পারে লিভারপুল। কিন্তু ফুটবলার মেসির তুলনা তিনি নিজেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ০৮, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস