স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে বার্সার খেলোয়াড়রা যখন জন লেনন এয়ারপোর্টে পৌঁছান, একদল বার্সা সমর্থক তখন মেসিকে উদ্দেশ্য করে দুয়ো দিতে থাকে। মেসিও নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই মেসিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও দলের ম্যানেজার পেপে কস্তা। তবে একই সময় মেসিকে বাহবা দিয়ে অন্য এক দল সমর্থক হাততালিও দেন।
গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগে হেরে গিয়ে এতটাই হতাশ হয়ে পড়েন মেসি যে ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এমনকি ড্রেসিং রুমেও কারো সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
মেসির জন্য রাতটা আরও খারাপ হয়ে আসে যখন ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ডোপ টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মেসি নমুনা দিলেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ফলে মেসিকে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় টিম বাস। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
চলতি মৌসুমের শুরুতেই বার্সার নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয় মেসির কাঁধে। দায়িত্ব নিয়েই তিনি বলেছিলেন চারবারের হতাশা ঝেড়ে ফেলে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে চান। সেমিফাইনালের প্রথম লেগ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু অ্যানফিল্ডে এসেই সব গোলমাল হয়ে গেল। অর্থাৎ, ১০ ম্যাচে ১২ গোল আর ৩ অ্যাসিস্ট করার পরও তার পঞ্চম শিরোপা জেতার স্বপ্ন আরও এক মৌসুম পিছিয়ে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এমএইচএম