অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে শৈশব কেটেছে তোরেসের। পেশাদারি ফুটবলের হাতেখড়িও ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে।
স্পেনের সোনালি প্রজন্মের সদস্য ছিলেন তোরেস। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ২০০৮ এবং ২০১২ সালে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপও জিতেছেন তোরেস। স্পেনের জার্সিতে ১১০ ম্যাচ মাঠে নেমেছেন তিনি। করেছেন ৩৮ গোল। স্পেনের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তোরেস। স্প্যানিশদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ছয়টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে।
অবসরের বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন তোরেস। নিজের অফিসিয়াল টুইটারে লিখেছেন, ‘পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে উত্তেজনাপূর্ণ ১৮ বছর কাটানোর পর এখন সময় এসেছে অবসর নেওয়ার। ’
আগামী রোববার (২৩ জুন) জাপানের রাজধানী টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘অবসর কারণ ব্যখ্যা’ করবেন জানিয়েছেন তিনি।
অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে ক্যারিয়ার শুরুর পর তোরেস ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ২০০৭ সালে যোগ দেন লিভারপুলে। অল রেডসদের হয়ে তিনি ১৪২ ম্যাচে করেছেন ৮১ গোল।
এরপর ২০১১ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তখনকার রেকর্ড ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চলে আসেন চেলসিতে। অবশ্য স্টামফোর্ড ব্রিজে তার সময়টা ভাল কাটেনি। তবে ব্লুজদের হয়ে ২০১২ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেন তোরেস। এছাড়া এফএ কাপও জিতেন তিনি।
২০১৩ সালে চেলসির হয়ে ইউরোপা লিগ জিতেন তোরেস। ফাইনালে বেনফিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয়ে একটি গোলও করেন। চেলসি অধ্যায়ে ১৭২ ম্যাচে ৪৫ গোল করেছেন তোরেস। সময়টা খারাপ যাওয়ায় পরের বছরেই তিনি ধারে যোগ দেন এসি মিলানে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে তোরেস দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসেন অ্যাথলেটিকোতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
ইউবি