শনিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা রিকার্দো গারেসা’র শিষ্যদের সব বিভাগেই রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে। তিতের শিষ্যরা প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে ৩ গোল দিয়েছে এবং এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও ২ গোল মিলিয়ে ৫ গোল দিয়ে এখন পর্যন্ত নিজেদের জাল সুরক্ষিত রেখেছে।
ব্রাজিলের প্রথম গোলটি এসেছে ডিফেন্ডার কাসেমিরোর পা থেকে। এরপর দ্রুতই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবার্তো ফিরমিনো। বিরতির আগে ব্যবধান ৩-০ করেন এভারটন। দ্বিতীয়ার্ধে গ্যাব্রিয়েল জেসুস পেনাল্টি মিস করলেও অধিনায়ক দানি আলভেস ও এবং উইলিয়ানের গোল ব্রাজিলের বিশাল জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে ফিলিপ্পে কৌতিনহোর কর্নার ঠেকাতে ব্যর্থ হয় পেরুর ডিফেন্স। কোনোমতে পোস্ট লক্ষ্য করে বলে হেড করেন মার্কুইনহোস। আর তার ভাগ্যক্রমে চলে কাসেমিরোর দখলে। তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোল পেতে অপেক্ষায় থাকতে হয় মাত্র ৭ মিনিট। ফিরমিনোর শট ঠেকিয়ে প্রায় উল্লাসের মতো করেছিলেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালাসে। কিন্তু বল আসলে তখনও বিপদমুক্ত হয়নি। ফের বল দখলে পেয়ে পেরুর গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন লিভারপুল স্ট্রাইকার।
ব্রাজিলের প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চ থেকে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন এভারটন। এই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পান ইনজুরি আক্রান্ত নেইমারের বদলে দলে সুযোগ পাওয়া এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাঁ প্রান্ত থেকে আক্রমণে উঠে ২০ গজ দূর থেকে কাট অফে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করে তিতের আস্থার ভালো প্রতিদান দিয়েছেন তরুণ ফরোয়ার্ড।
৫৩তম মিনিটে পেরুকে একদম ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেন আলভেস। বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আর্থারের বানিয়ে দেওয়া বলে ফিরমিনোর সঙ্গে পাস দেওয়া-নেওয়া করে গোলের দেখা পান ব্রাজিলের নতুন অধিনায়ক। শেষদিকে কৌতিনহোর বদলি হিসেবে নেমে অসাধারণ এক গোলে পেরুর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
পেরুর জন্য একমাত্র সান্ত্বনা জেসুসের পেনাল্টি ফিরিয়ে দেওয়া। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার।
তিতের দলকে এখন পরবর্তী প্রতিপক্ষের জন্য গ্রুপ ‘বি’ ও ‘সি’র খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮, জুন ২৩, ২০১৯
এমএইচএম