মাঝখানে প্রীতি ম্যাচে দেখা হয়েছে তাদের বহুবার। কিন্তু কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের লড়াই যে ভিন্ন কিছু।
দু’দল মাত্র একটি করে ম্যাচ জিতলে পা রাখবে শেষ চারে। কোয়ার্টার ফাইনালের ১৯তম ম্যাচে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল প্যারাগুয়ে। আর অন্য ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স আপ আর্জেন্টিনা ২১তম ম্যাচে খেলবে ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে।
সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ১৯তম বনাম ২১তম ম্যাচ জয়ী দল। সেক্ষেত্রে শেষ আটের বাধা যদি টপকাতে পারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তবে শেষ চারে দেখা হয়ে যাবে তাদের। কোয়ার্টারে দু’দলের প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত সহজ বলে এমন আশা অমূলক নয়।
চলমান কোপাতে শুরু থেকে অনুজ্জ্বল হলেও কাতারের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে জিতে শেষ আটে এসেছে গত দুই আসরের রানার্স আপ আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসিরা হেরেছে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে আকাশি-নীলদের রুখে দেয় প্যারাগুয়ে। তবে কোয়ার্টার নিয়ে স্বস্তিতে নেই আর্জেন্টিনা। কারণ ব্রাজিলের মতো দলকে গোল শূন্যভাবে রুখে দিয়েছিল ভেনেজুয়েলা।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে দোর্দণ্ড প্রতাপে কোয়ার্টারে ওঠেছে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে গুঁড়িয়ে দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তারা পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে সেলেকাওরা পেরুকে বিধ্বস্ত করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ আটে ওঠে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার যদি দেখা হয় সেমিতে তবে কোনো এক দলের সমর্থকদের স্বপ্ন সেই মঞ্চেই ভেঙে যাবে। ব্রাজিল হারলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের মতো ঘরের মাঠে আরেকবার স্বপ্ন ভাঙার বেদনা সঙ্গী তবে তাদের। আর আর্জেন্টিনা যদি বিদায় নেয় তবে ২০০৭ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে শিরোপা হারানোর প্রতিশোধ তোলা হবে না মেসি-ডি মারিয়াদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ইউবি