গত সপ্তাহেই নেইমারের পিএসজি ছাড়ার সম্ভবনার কথা চাউর হয়েছিল। ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল নেইমারকে নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বার্সেলোনা ও পিএসজি।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘স্পোর্ত’ দাবি করেছে, এবার সব দ্বিধা ঝেড়ে বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট হোসে মারিও বার্তমেউ’কে নাকি মৌখিকভাবে পাঁচ বছরের চুক্তিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন নেইমার।
‘স্পোর্ত’র রিপোর্ট অনুযায়ী, তার সঙ্গে ফের চুক্তি স্বাক্ষর করতে বার্সেলোনাকে যেহেতু অনেক বেগ পেতে হচ্ছে তাই এবার দর-কষাকষিতে কোনো ভূমিকা রাখতে চান না নেইমার।
বার্সেলোনায় পাড়ি জমালে নেইমারের বেতন কমে যাবে অনেক। পিএসজি যে তাকে বাৎসরিক ৩৭ মিলিয়ন ইউরো দিত, বার্সায় ফিরলে সেটা ২৪ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে যাবে। বার্সায় তার আগের মেয়াদে প্রায় একইরকম অর্থ পেতেন নেইমার। তার সাপ্তাহিক বেতন হবে সাড়ে ৪ লাখ ইউরো।
কাতালান জায়ান্টদের কাছে ফেরার জন্য নেইমার এতটাই উদগ্রীব যে, তার কাছে পুরনো ঠিকানায় ফেরাটাই এখন সবার আগে। বেতন বা অন্যান্য সুবিধা তার কাছে বড় কোনো বিষয় নয়। এমনকি তিনি ‘রয়্যালটি বোনাস’র জন্য বার্সার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিলেন তাও তুলে নিতে প্রস্তুত।
নেইমার নিজেও জানেন, পিএসজিতে পাড়ি দেওয়া ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরার স্বপ্ন তার দুই মৌসুমেই অপূর্ণ থেকে গেছে।
সর্বশেষ নেইমারের ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার সৌভাগ্য হয়েছিল বার্সার হয়ে সেই ২০১৪/১৫ মৌসুমে। বার্সা ছাড়ার পর সৌভাগ্যও নেইমারের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। একের পর এক ইনজুরি, মাঠ ও মাঠের বাইরের বিতর্কিত কাণ্ডে জেরবার হতে হয় তাকে।
এদিকে নেইমারকে পেতে নাকি রিয়াল মাদ্রিদও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতেও প্রস্তুত স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তবে নেইমার সেখানেই ফিরতে চান যেখানে তিনি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দ ও সাফল্যের সময় পার করেছেন।
তবে নেইমারের দলবদল এত সহজেই বাস্তবায়িত হবে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী কাতালান জায়ান্টরা নেইমারের বিনিময়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো ও তিনজন খেলোয়াড়কে দিতে চায়। এই তিনজন হলেন-ওসমানে দেম্বেলে, স্যামুয়েল উমতিতি ও ইভান রাকিতিচ। এছাড়া ফিলিপ্পে কৌতিনহোকেও হয়ত ভালো দামে বেচে দিয়ে তা নেইমারকে কিনতে খরচ করতে পারে বার্সা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস