মারাকানা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই ভেনিজুয়েলার ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। সাফল্যের দেখা পেতেও সময় লাগেনি আলবিসেলেস্তাদের।
লিড পেয়ে আক্রমণ বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টাইনরা। ৩৭ মিনিটে মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক থেকে বল হেড করে গোল করতে ব্যর্থ হন জার্মিন পিজ্জিলা।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি বক্সের বাঁপাশ থেকে বাড়ানো বল পায়ের ছোঁয়া লাগাতে ব্যর্থ হন মার্তিনেজ। ফলে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট হয় আর্জেন্টিনার। প্রধমার্ধে লিডটা ধরে রেখে শেষ করে মেসিরা।
বিরতির পর শুরুতেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় আর্জেন্টিনার। ৪৮ মিনিটে লিয়েনার্দো পারেদেজের বাড়ানো বল নিয়ে পেনাল্টি ডি-বক্সের ভেতরে নিয়ে যান মার্তিনেজ। সামনে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ডান পায়ে জোরালো কিকও করেন তিনি। কিন্তু শটটি গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়।
৭১ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় ভেনেজুয়েলা। টমাস রিঙ্কনের বাড়ানো বল পেনাল্টি বক্সের ডান পাশে পেয়ে যান রোনালদো হার্নান্দেজ। কিন্তু তার করা ডান পায়ের শটটি ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি।
তবে এরপরই ব্যবধান বাড়ায় আলবিসেলেস্তারা। ৭৪ মিনিটে দি পাউলের কাছ থেকে পেনাল্টি বক্সের মাঝখানে বল পেয়ে যান আগুয়েরো। ডান পায়ের শটও করে তিনি। কিন্তু বলটি ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষকের হাতে লেগে ফেরত আসে। সেই ফিরতি বলই ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা জিয়োভানি লো সেলসো বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন।
এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় চেষ্টা করেও ভেনেজুয়েলা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এতে ২-০ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে ওঠে স্কোলানির শিষ্যরা। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। দীর্ঘ ১২ বছর পর কোপা আমেরিকার মঞ্চে মুখোমুখি হবে এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, জুন ২৯. ২০১৯
আরএআর/এমএমইউ