বৃষ্টিভেজা মাঠে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। প্রথম পর্বে ব্রাদার্সকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করার স্মৃতিটাই যেন উস্কে দিতে মাঠে নেমেছিল মারিও লেমোসের শিষ্যরা।
ব্রাদার্সের খেলোয়াড়দের তখনও বলে পা ছোঁয়ারও সুযোগ হয়নি। ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই আক্রমণে গোল দিয়ে বসে আবাহনী। জুয়েল রানার দুর্দান্ত ক্রস থেকে হেড দিয়ে ব্রাদার্স গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। আবাহনী ফরোয়ার্ডের এটি ১২তম গোল।
১৩ মিনিটে রুবেল মিয়ার পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুয়েল। ২২ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর বুলেট গতির শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
ব্রাদার্স বড় ব্যবধানের হার এড়াতে পারলেই তখন বাঁচে। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে অন্য রকম ফুটবল উপহার দিতে থাকে নিকোলাস ভিতোরোভিচের দল।
গোল শোধে মরিয়া ব্রাদার্স ৭৭ মিনিটে টুটুল হোসেন বাদশার আত্মঘাতি গোলে ব্যবধান কমায়। ৮৩ মিনিটে ব্যবধানটা ৩-২ করে দেয় মান্নাফ রাব্বীর শট। এর তিন মিনিট পরই আবাহনীকে স্বস্তি এনে দেয় সানডে চিজোবার গোল।
কিন্তু নাটক তখনও বাকি। শেষার্ধে আরও দু’বার জমে উঠলো ম্যাচটি। ৮৮ মিনিটে মিনহাজুল আবেদীন বাল্লু আবাহনী গোলরক্ষকের দু’পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। যোগ করা সময়ে মামুন মিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে স্কোরলাইটনটা ৫-৩ করেন চিজোবা।
এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ১৬ জয়ে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানটা ধরে রেখেছে আবাহনী। ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। ১৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে ব্রাদার্স আছে অবনমের শঙ্কায়।
দিনের আরেক ম্যাচে নোয়াখালির শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে আরিফুর রহমানের জোড়া গোলে নোফেল স্পোর্টিংকে ২-১ ব্যবধানে আরামবাগ ক্রীড়া চক্র।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘন্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
ইউবি