এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদোও, ছিলেন লিভারপুলের ডাচ তারকা ভার্জিল ফন ডাইক। শেষতক গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলা মেসির বাক্সেই বেশি পড়ে ফিফার অন্তর্ভূক্ত ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোর কোচ, অধিনায়ক ও অন্যান্যদের ভোট।
পুরস্কার মেসি জিতলেও জুভেন্টাসের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ফ্যাবিও প্যারাতিসি মনে করেন, বিচারকরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, ২০১৯ সালে রোনালদো যা অর্জন করেছেন, তাতে পুরস্কারটা তারই প্রাপ্য ছিল। ‘কোরেইরে দেল্লো স্পোর্ত’কে প্যারাতিসি বলেন, এবারের পুরস্কার নিয়ে আমরা হতাশ। মেসির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমরা মনে করি গত মৌসুমে ন্যাশন্স লিগ, সিরি আ’ এবং ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করায়, রোনালদোর এই পুরস্কার প্রাপ্র্য ছিল। ’
অন্যদিকে গত মৌসুমে প্রায় একক নৈপুণ্যে বার্সেলোনাকে লা লিগা জিতিয়েছেন মেসি। কাতালান ক্লাবটির চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ও কোপা দেল রে’র ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রেও বড় অবদান ছিল আর্জেন্টাইন তারকার। ক্লাবের হয়ে তিনি পুরো মৌসুমে ৫১ ম্যাচে করেছিলেন ৫০ গোল। আর ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৫৪ গোল করেন মেসি।
মূলত র্যাংকিং পয়েন্টে পিছিয়ে থাকায় পুরস্কার ঘরে তুলতে পারেননি রোনালদো। ফিফা’র অন্তর্ভুক্ত জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, এবং বাছাইকৃত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভোট শেষে রোনালদোর র্যাংকিং পয়েন্ট ছিল ৩৬। তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মেসি (৪৬) ও ফন ডাইক (৩৮)।
এদিকে মেসির পুরস্কার পাওয়ার রাতে মিলানের সেই অনুষ্ঠানে হাজির হননি রোনালদো। পরে ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। যেখানে তাকে সোফায় বসে বই পড়তে দেখা গেছে। এরপর চোটের কারণে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ব্রেসিয়ার বিপক্ষে সিরি আ’র ম্যাচেও নামতে দেখা যায়নি তাকে। তাকে ছাড়াই অবশ্য ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে শীর্ষে থাকা জুভেন্টাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এমএইচএম