বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে স্বাগতিকরা।
২৫ মিনিটে ভালো একটি গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে জীবনের বাড়িয়ে দেওয়া পাস ইব্রাহিমের পা স্পর্শ করার আগেই কাতারের ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। তবে এরপর অবশ্য আর নিজেদের রক্ষণ অক্ষত রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২৮ মিনিটে ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কাতারকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ইউসুফ।
বাংলাদেশ সমতায় ফেরার সবচেয়ে ভালো সুযোগ পায় ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে। কর্নার থেকে পাওয়া বল পেনাল্টি ডি-বক্সের কাছ থেকে প্রথমবার জামালের শট ও পরেরবার ইয়াসিনের শট কাতারের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ফলে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা।
বিরতির পরও নিজেদের রক্ষণভাগ ঠিক রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে কাতার দূর্গে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে জেমি ডে’র শিষ্যরা। তবে কাতারের আক্রমণের বিপক্ষে বাংলাদেশ ডিফেন্সও ছিল শক্ত। ৭১ মিনিটে রায়হানের লং থ্রো থেকে ইয়াসিনের হেড ফিরিয়ে দেন কাতারের গোলরক্ষক। পরে মিনিটে সোহেলের পাস থেকে ইয়াসিন সুযোগ পেলেও দুর্বল হেডের কারণে তা মিস হয়।
৭৪ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ডান প্রান্ত দিয়ে বদলি হিসেবে নামা বিপলুর ক্রস থেকে বল পেয়ে জামালের জোরালো শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫ মিনিট পরেই ভালো একটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। ইব্রাহিমের ক্রস থেকে পেনাল্টি ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে বিপলুর শট অল্পের জন্য পোস্ট মিস করে। উল্টো শেষ দিকে বাংলাদেশকে আরও একটি গোল হজম করে। ইনজুরি সময়ে কাতারের করিম বোদিয়াফের ওই গোলের পর ২-০ গোলের ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
এই নিয়ে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল কাতার। এর আগে আফগানিস্তানকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছিল ২০২০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটি। দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ভারতের সঙ্গে ড্র করেছিল।
অপরদিকে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গেল। এর আগে আফগানদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল জেমি ডে’র শিষ্যরা। আগামী ১৫ অক্টোবর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজের দল।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম