ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

টিকে থাকার লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি বসুন্ধরা কিংস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
টিকে থাকার লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি বসুন্ধরা কিংস বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের দখলে থাকা বল নেওয়ার চেষ্টা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের

ভারতের গোকুলাম কেরালা এফসি’র বিপক্ষে হার খাদের কিনারে ফেলে দিয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। অথচ টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট হয়েই মাঠে নেমেছিল অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। মাঠে নৈপুণ্য দেখালেও প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করে ফেলায় শেষ পযর্ন্ত ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। শেষদিকে ভাগ্যবঞ্চিত না হলে ম্যাচে ফিরতে পারতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়নরা । কিন্তু প্রেসিং ফুটবলের পসরা সাজানো কেরালা জয় তুলে নেয় ৩-১ ব্যবধানে।

যার কারণে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে এখন বেঁচে থাকতে হলে হলে গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরার সামনে। অবশ্য হারের যন্ত্রণা নিয়ে ফিরলেও আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি কোচ ব্রুজনের মনে।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পরের দুই ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে যাওয়ার কথা। এবার অনুশীলনের ফাঁকেও একই উচ্চারণ ছিল ব্রুজনের কণ্ঠে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপে ভারতের আরেক দল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসি’র মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা। তার আগে স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘গত ম্যাচের ফলে আমি খুশি হতে পারিনি। তবে আগামীকালের ম্যাচটি আমাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। আমরা চাপে থাকবো ঠিক। তবে এবার কোনো ভুল করতে চাই না। যদি ভুল করি তবে টুর্নামেন্ট থেকে আমরা বাদ পড়ে যাবো। আশা করি, আমরা পরের দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাবো। ’

বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজনের মতো আত্মবিশ্বাসী মতিন মিয়াও। আগের ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে একটি গোল শোধ দিয়েছিলেন তিনি। এবার জয়ের ধারায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী মতিন। গত ম্যাচে হারের পেছনে মাত্র কয়েকদিনের অনুশীলন পাওয়া  এবং নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া কম ছিল মনে করেন তিনি।  এই বিষয়ে মতিন বলেন, ‘আমরা অল্প কিছুদিন ট্রেনিং পেয়েছি। বেশিরভাগ খেলোয়াড় জাতীয় দলে ছিল। আমরা তিন-চারদিনের মতো একসঙ্গে অনুশীলন করেছি। আর প্রতিপক্ষ যারা ছিল তারাও ভাল দল। আমরা ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। হয়তো আমরা পারিনি। তবে ইনশাল্লাহ, পরের ম্যাচে সব ঠিক হয়ে যাবে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরাও পাওয়ার ফুটবল খেলি। তবে নতুন কিছু খেলোয়াড় আমাদের দলে ঢুকেছে। যার কারণে সবার সঙ্গে সবার বোঝাপড়াটা হয়ে ওঠেনি। ইনশাল্লাহ আমার বিশ্বাস, পরের দুই ম্যাচে আমরা ভাল খেলব। ভাল খেলে জয়ের চেষ্টা করবো। ইনশাল্লাহ, আমরা কামব্যাক করবো। গত ম্যাচে আমার অনেক সুযোগ পেয়েছি।  কয়েকট বল গোলপোস্টে লেগেছে। কেবল ভাল খেললে হবে না, ভাগ্যের সহায়তাও দরকার হয়। গোলপোস্টে না লাগলে ম্যাচটা আমরা ড্র করতে পারতাম বা জয় পেতে পারতাম। সময় সবার সমান যায় না। শেষ দুই ম্যাচে গেলে আমরা ক্যামব্যাক করবো। ’ 

চেন্নাই সিটিও অবশ্য স্বস্তিতে নেই। প্রথম ম্যাচে তারা মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসি’র হাতে বিধ্বস্ত হয়েছে ৫-৩ ব্যবধানে। শেষ চারে যেতে হলে তাদেরও জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। নয়তো বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
ইউবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।