ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মাঠে নামান মাউরিসিও সারি। কিন্তু প্রথমার্ধে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই পর্তুগিজ উইঙ্গারকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অ্যাতলেতিকোর ডি-বক্সের ডান দিকে বেশ দুরূহ কোণে ফ্রি-কিক পেয়েছিল জুভেন্টাস। অমন কোণ থেকে কেউ গোল করতে পারেন তা হয়তো দুই দলের কেউই ভাবেননি। কিক নেওয়ার আগে মুচকি হাসি দিয়ে যেন কিছুটা রহস্য করে নিলেন দিবালা। কিন্তু রাইট উইং থেকে নেওয়া তার বাঁকানো ফ্রি-কিক যে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের সবাইকে বোকা বানিয়ে দূরের পোস্ট খুঁজে নেবে, তা হয়তো আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিজেও ভাবেননি।
গোল হজম করে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা শোধ করবে তো দূরে থাকুক, তেমন কার্যকর কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। সফরকারীদের বেশকিছু আক্রমণ তুরিনের বুড়িদের রক্ষণেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে সমতা ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন অ্যাতলেতিকোর মোরাতা। ফেলিক্সের দারুণ এক পাস বক্সে ঢুকলে তা ধরে গোলমুখে ঠেলে দেন কোরেয়া, কিন্তু দৌড়ে গিয়েও ঠিকমতো শট নিতে ব্যর্থ হন মোরাতা।
এই নিয়ে ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল জুভেন্টাস। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষা বাড়লো অ্যাতলেতিকোর।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএইচএম