যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সানডে টাইমস’র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপের আয়োজক হতে ফিফার সঙ্গে কাতারের ৮৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন বিষয়ক গোপন নথির সন্ধান পেয়েছে তারা।
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে নাম ঘোষণার ঠিক ২১ দিন আগে ফিফাকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয় কাতার।
কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানির মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র টেলিভশন স্বত্ব কিনে নেওয়ার যে চুক্তিতে উপনীত হয়েছে তাতে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারকে বলা হচ্ছে ‘সাকসেস ফি’। অর্থাৎ ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভোটাভুটিতে জয়ে পেতে যে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছিল তার সাফল্য বাবদ এই অর্থ দেওয়া হয়।
‘দ্য সানডে টাইমস’ দাবি করেছে, ‘সাকসেস ফি’ হিসেবে ফিফার গভর্নিং বডি নাকি আগামী মাসে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করবে। আর দ্বিতীয় ধাপে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়োজক দেশের নাম ঘোষণার তিন বছর পর পরিশোধ করেছে কাতার। সবমিলিয়ে মোট ৮৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন।
ওই সংবাদমাধ্যম আরও দাবি করেছে, কাতার ও ফিফার মধ্যে গোপন লেনদেনের এই অভিযোগ সুইজারল্যান্ডের পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ফিফা’র পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও এই অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ফিফা’র বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এবারই প্রথম উঠেছে তা নয়। এর আগেও অনেকবারই এই সংস্থার বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
ফিফার এমন দুর্নীতির দায়েই সেসময়কার প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ও উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনিকে ফুটবলের সকল কর্মকাণ্ড থেকে আট বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও এর আগেই সেপ ব্লাটার পদত্যাগ করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস