শনিবার (৩০ নভেম্বর) জেমস পার্ক ভ্রমণে যায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সিটি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো প্রিমিয়ার লিগেও টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো সিটিজেনদের।
শুরুতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল গার্দিওলার দল। ২৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের ভেতর ডেভিড সিলভার পাস থেকে বল পেয়ে সিটিকে এগিয়ে দেন রহীম স্টার্লিং। কিন্তু সেই ব্যবধান তারা ধরে রাখতে পারে মাত্র ২ মিনিটের জন্য। ২৫ মিনিটে আলমিরন বল পাঠান জেত্রো ভিলেমকে উদ্দেশ্য করে। ডাচ ডিফেন্ডার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরায় নিউক্যাসলকে।
সিটি এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও গোলের মুখ দেখেনি। বিরতি থেকে ফিরেও চেষ্টা অব্যাহত রাখে গার্দিওলার শিষ্যরা। কিন্তু ফুটবল ঈশ্বর যেন সব নাটক জমিয়ে রেখেছিল শেষ মুহূর্তের জন্য। ৮২ মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোল থেকে সিটিজেনদের পুনরায় এগিয়ে দেন কেভিন ডি ব্রুইন। বুকে বল রিসিভ করে সোজা বলি নেন এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। কয়েক মুহূর্তের জন্য ডি ব্রুইনের এই জাদু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া গতি ছিল না নিউক্যাসল গোলরক্ষক মার্তিন দুভরাভকার।
কিন্তু নাটকটা আরেকবার জমিয়ে তুলে স্বাগতিকরা। গার্দিওলার শিষ্যদের একবিন্দুও ছাড় না দিয়ে ফের সমতায় ফেরে নিউক্যাসল। এবার সিটি ব্যবধানটা ধরে রাখতে পারে মাত্র ৬ মিনিটের জন্য। ৮৮ মিনিটে আতসুর সেট পিস থেকে নেওয়া শটে বল পেয়ে সিটিজেনদের জালে জড়িয়ে দেন জোনজো শেলভি।
সমতায় ফিরে রক্ষণভাগে নেমে যায় নিউক্যাসল। যোগ করা সময়ে সহজ গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন স্টার্লিং। ডি ব্রুইনের পাস কাজে লাগাতে পারেননি ইংলিশ ফরোয়ার্ড। শেষ পযর্ন্ত ২-২ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
এই ড্রয়ে চলতি মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আরেকটু পিছিয়ে পড়লো ম্যানসিটি। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছে তারা। ১৩ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে সিংহাসনের দখল রেখেছে অল রেডরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
ইউবি