বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের ম্যাচে মাউরো ইকার্দির বদলে এমবাপ্পেকে একাদশে নামিয়েছিলেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। কোচের আস্থার প্রতিদান ঠিকই দিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
যদিও নেইমার ও এমবাপ্পে দুজনেই বেশকিছু সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। পিএসজির ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা যেমন ছিল, তেমনই ছিল রক্ষণের দুর্বলতাও। তবে প্রতিপক্ষ নঁতের অবস্থা ছিল আরও খারাপ। ফলে শেষ পর্যন্ত সব বাধা পেরিয়ে মূল্যবান তিন পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে টুখেলের দল।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইয়ের চেয়ে পিএসজি এখন পুরো পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে। ফলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা প্রমাণ করেছে, সেরাটা না খেলেও টানা ম্যাচ জেতার সামর্থ্য আছে তাদের। এই ম্যাচেই যেমন প্রতিপক্ষ নঁতে পুরো ম্যাচে মাত্র একবারই গোল করার সরাসরি সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দক্ষতায় লুডোভিচ ব্লাস সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
এই ম্যাচে নেইমার সুযোগ নষ্ট করার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন যেন। বিরতির চার মিনিট আগে তার একটি প্রচেষ্টা নষ্ট হয় হুলিয়ান ড্র্যাক্সলারের কারণে। নেইমারের শট জালে জড়ালেও বল তার কাছে পৌঁছানোর আগে নঁতের ইমরান লউজাকে ফাউল করেছিলেন ড্র্যাক্সলার। ফলে ভিএআর’র সহায়তায় গোল বাতিল করে দেন রেফারি।
প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার। তবে ৫২তম মিনিটে আনহেল ডি মারিয়ার ক্রস ধরে দারুণ এক ফ্লিকে বল জালে জড়িয়ে পিএসজিকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন এমবাপ্পে। এরপর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে ইকার্দিকে ফাউল করে বসেন নঁতের গোলরক্ষক। আর তা থেকে স্বস্তির এক গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কারণ ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার পর এই প্রথম গোলের দেখা পেলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএইচএম