শীতের তীব্রতায় কাঁপছে পুরো দেশ। রাজধানী ঢাকা থেকে সেই চুয়াডাঙ্গা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ম্যাচের শুরু থেকে ব্রাদার্সকে চেপে ধরে বসুন্ধরা কিংস। তৃতীয় মিনিটেই দুর্দান্ত আক্রমণে ওঠে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে আসন্ন এএফসি কাপের প্রস্তুতি নিতে থাকা ব্রুজোনের শিষ্যরা। ৮ মিনিটে লেবানিজ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জালাল কদুহ’র শট প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে না গেলে গোলের দেখা পেতো বসুন্ধরা। পরের মিনিটেই অধিনায়ক দেনিয়েল কলিন্দ্রেসের শট গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী রুখে না দিলে গোল হজম করতো ব্রাদার্স।
বসুন্ধরার আক্রমণ সামলাতে সামলাতেই ১২তম মিনিটে সুযোগ পায় মহিদুর রহমান মিরাজের শিষ্যরা। তবে বসুন্ধরার গোলপোস্ট অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ১৪তম মিনিটে ফের গোলের সুযোগ মিস করেন কদুহ। এর দুই মিনিট পরেই কাউন্টার-অ্যাটাকে ওঠে ব্রাদার্স। ১৮ মিনিটে পুনরায় বসুন্ধরার আক্রমণ রুখে দেন গোলরক্ষক তিতুমির। তবে বেশিক্ষণ গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে পারেননি তিনি।
মাঝমাঠ থেকে কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড কলিন্দ্রেসের কাছ থেকে বল পেয়ে এক দৌড়ে ব্রাদার্সের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কদুহ। এরপর শট নেন প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে। গোলরক্ষক তিতুমির রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বল তার হাতে ও গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে।
এগিয়ে যাওয়ার পর গোলের নেশায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ব্রুজোনের দল। ২৫তম মিনিটে কলিন্দ্রেসের কর্নার কিক থেকে ফের ব্রাদার্সের জালে বল পাঠান বসুন্ধরার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস দেলমন্তে। কিন্তু ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৫ ও ৩৮ মিনিটে আরও দুটি সুযোগ হারায় কলিন্দ্রেসরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে ব্রাদার্স। ৫০তম মিনিটে গোল পোস্টের কাছাকাছি নেওয়া ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে পারলে সমতায় ফিরতে পারতো তারা। ৫৯তম মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে আবারও ব্রাদার্সের জাল রক্ষা করেন তিতুমির। ৬৭তম মিনিটে উজবেক মিডফিল্ডার ভালি ওতাবেকের ফ্রি-কিক থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন কিংসলে চিগোজি। কিন্তু নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের হেড চলে যায় বসুন্ধরার গোলপোস্ট ঘেঁষে।
৭৭তম মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েও গোল হাতছাড়া করেন বসুন্ধরার কলিন্দ্রেস। কোস্টারিকান তারকার শট রুখে দেন ব্রাদার্সের গোলরক্ষক। ম্যাচের বাকি সময় ১-০ ব্যবধান ধরে রেখে জয় তুলে নেয় বসুন্ধরা কিংস।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
ইউবি/এমএইচএম