ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

ফুটবলের দশক সেরা ১০ মুহূর্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ফুটবলের দশক সেরা ১০ মুহূর্ত .

কিছুদিন পরেই শেষ হচ্ছে ২০১৯ সাল। সেই সঙ্গে শেষ হচ্ছে এক দশক। আর এই দশক ছিল ফুটবলের জন্য ঘটনাবহুল। ফুটবলবিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া এমনই ১০টি ঘটনা নিয়ে এই আয়োজন।

২০১০: ইনিয়েস্তার হাত ধরে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়
.

আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ, শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’, গগনবিদারী ভুভুজেলার আওয়াজ মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য এক আসর। আর তাতে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাদ পায় স্পেন।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্পেনকে জিতিয়ে দেন মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।

জোহানেসবার্গের সেই ফাইনালে দুই দলের মারমুখী ফুটবল দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিল। দুই দলেরই স্বাভাবিক খেলা তথা ‘টিকিটাকা’। কিন্তু এই ম্যাচে সেসব ভুলে গিয়েছিল দুই ইউরোপীয় পরাশক্তি। ফলে বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১২টি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব।

ম্যাচের ১০৯তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় ডাচ ডিফেন্ডার জন হেইতিঙ্গাকে, কিন্তু স্পেনের জাভি আলোনসোর বুকে কুংফু কিক মেরেও বেঁচে যান নাইজেল ডি ইয়ং। কিন্তু শেষ হাসি হাসে স্প্যানিশরাই, যখন গোল করে সাবেক এসপানিওল ডিফেন্ডার দানি জার্ককে (২০০৯ সালে ২৬ বছর বয়সে মারা যান) উৎসর্গ করে টি-শার্ট প্রদর্শন করেন ইনিয়েস্তা।

সাবেক বার্সা তারকা ইনিয়েস্তার করা ফাইনালের সেই এক গোলের পর আদতে পাল্টে যায় স্প্যানিশ ফুটবল। এরপর ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও ঘরে তুলে স্পেন।

২০১১: চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বার্সেলোনা ‘রাজ’
.

পেপ গার্দিওলার অধীনে অবিশ্বাস্য সব সাফল্যের মাঝে ২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় ছিল অনন্য। ওয়েম্বলির ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেন মেসি-ভিয়ারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বার্সা। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে সেরা ক্লাবের তকমাও যায় কাতালান জায়ান্টদের ঘরে।

ম্যাচ শেষে ম্যানইউ’র কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন বলেন, ‘তারা (বার্সা) ঠিকভাবেই খেলেছে এবং ফুটবলটা উপভোগ করেছে। তারা তাদের পাসিং দিয়ে বিভ্রান্ত করে এবং আমরা সত্যিকার অর্থেই মেসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমার কোচিং ক্যারিয়ারে, মুখোমুখি হওয়া সেরা দল এটাই। ’

সেবার ছয় বছরে তৃতীয় ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল বার্সা। আর ক্যাম্প ন্যুয়ে এটি ছিল তিন বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে গার্দিওলার ১০ম শিরোপা।

২০১২: আগুয়েরো!
.
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ২০১২ সালকে সবচেয়ে নাটকীয় বছর ধরা হয়। মৌসুমের শেষ দিনে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে হারাতে পারলেই ৪৪ বছরের শিরোপার খরা ঘুচবে, এমটা নিশ্চিত জেনেই মাঠে নেমেছিল সিটি। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়ে যাওয়ার পথে, রবার্তো মানচিনির দল তখনও ২-১ গোলে পিছিয়ে এবং শিরোপা তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দিকে হেলে পড়েছে।  

এডিন জেকোর ৯২তম মিনিটের গোলে হঠাৎ আশা জাগে সিটি সমর্থকদের। এরপর মৌসুমের শেষ কিকে গোল করে ইতিহাদ স্টেডিয়ামকে উৎসবে মাতান সার্জিও আগুয়েরো। অন্যদিকে এমন আচানক গোলে স্তব্ধ হয়ে যান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকরা।  

২০১৩: ফুটবলকে বিদায় জানান স্যার অ্যালেক্স
.

ম্যানচেস্টার সিটির কারণে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা মিস হওয়ার পরের মৌসুমে ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে বিদায় বলে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ২০১৩ সালের ৮ মে তিনি যখন বিদায় বলেন তখন তার বয়স ৭১ বছর। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ৩৮টি শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন তিনি, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ।  

২০১৪: ব্রাজিল ১- ৭ জার্মানি
.

২০১৪ বিশ্বকাপের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে দারুণ আধিপত্য দেখানোর পর নক আউট পর্বে চিলি এবং কলম্বিয়াকে হারানোর পর ফাইনালের পথে ব্রাজিলের একমাত্র বাধা ছিল জার্মানি। কিন্তু বেলো হরিজন্তেতে সে রাতটা ব্রাজিল দলের জন্য এতটাই বিভীষিকাময় কাটে যে আজও সেই ক্ষত সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি।

২০৪ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ানের স্বপ্ন ভাঙার শুরু ম্যাচের ১১তম মিনিটেই। টমাস ম্যুলারের ওই গোলের পর প্রথমার্ধের মধ্যে ৫-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল যোগ করে লজ্জায় ডুবায় জার্মানরা। পরে ৯০তম মিনিটে অস্কার এক গোল শোধ করলেও সেটা শুধুই ব্যবধান কমায়। ব্রাজিলের ওই ৭ গোল হজম পরে সারা বিশ্বে কৌতুকের উপলক্ষে পরিণত হয়। ব্রাজিলের সমর্থকদের অনেকে ‘সেভেন আপ’ বলেও কটাক্ষ করতে শুরু করে।

২০১৫: ফুটবল বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া ফিফার দুর্নীতি
.

২০১৫ সালের গ্রীষ্মে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই’র এক তদন্তে ফিফার দুর্নীতির ভয়াবহ সব তথ্য উঠে আসে। বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিফার ১৬ জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা। এদের মধ্যে পাঁচজনই ফিফার তৎকালীন বা সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের নিলাম প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির দায়ে জুরিখে একটি হোটেল থেকে দুজন ফিফা ভাইস-প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান মার্কো পোলো ডেল নেরোকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব ধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়।  

দুর্নীতির অভিযোগে ফুটবলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই ব্যক্তি- ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার এবং উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনির ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। দুজনকেই ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। পরে এক আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ব্ল্যাটারের শাস্তি ৬ বছরে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই কালো দাগ ফুটবলের গায়ে আজীবনের জন্য লেগে যায়।

২০১৬: লেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ রূপকথা
.

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটি ফুটবল ইতিহাসের সেরা ‘আন্ডারডগ’র গল্প লিখেছিল ২০১৬ সালে। ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে, নাইজেল পিয়ারসেনকে সরিয়ে ক্লদিও রনিয়েরিকে কোচের দায়িত্ব দেয় লেস্টার কর্তৃপক্ষ। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ইতালিয়ান কোচ লেস্টারে নিজের ভরাডুবির মুখে পড়বেন।

সব সমালোচনাকে এক পাশে সরিয়ে রেখে দারুণভাবে মৌসুম শুরু করে লেস্টার। সেবার আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে টানা ১১ ম্যাচে ১৩ গোল করে তাক লাগিয়ে দেন স্ট্রাইকার জেমি ভার্দি। এর আগে টানা ১০ ম্যাচে গোলের রেকর্ড ছিল রুড ভন নিস্টলরয়ের দখলে।

মৌসুমের শুরুতে লিগের পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকা লেস্টার ২০১৬ সালের বড়দিনে শীর্ষে জায়গা করে নেয়। সেসময় ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল এবং টটেনহামের মতো দল যখন একসঙ্গে ফর্ম হারিয়ে বসেছে, সেখানে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধেও রনিয়েরির ছেলেদের জয়রথ অব্যাহত থাকে।  

অবশেষে ২০১৬ সালের ২ মে চেলসির সঙ্গে টটেনহামের ২-২ গোলে ড্র ম্যাচের বদৌলতে ষষ্ঠ ক্লাব হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলে লেস্টার সিটি। এর কিছুদিন পর ঘরের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে রাজার মতোই শিরোপা উৎসব করেন লেস্টারের ফুটবলাররা।  

২০১৭: দলবদলের বাজারে নেইমার ‘ঝড়’
.

২০১৭ সালের ৩ আগস্ট, বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে কিনতে ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে পিএসজি। আর তাতেই ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবলারে পরিণত হন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তার এই বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি আগের রেকর্ডের (২০১৬ সালে পল পগবাকে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর কিনে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) দ্বিগুণেরও বেশি।

পিএসজির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করার পর ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট লিগ ওয়ানে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গোল করেন নেইমার। ম্যাচটি ৩-০ গোল জিতে নেয় ফরাসি জায়ান্টরা। এরইমধ্যে পিএসজির জার্সিতে ৫৫ গোল, দুটি লিগ ওয়ান শিরোপা এবং দুটি ঘরোয়া কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন নেইমার। তবে তাকে যে আশায় বিশাল মূল্য দিয়ে কিনেছিল পিএসজি তা এখনও পূরণ করতে পারেননি তিনি। এমনকি চলতি মৌসুম শুরুর আগে তিনি পুরনো ঠিকানা ক্যাম্প ন্যুয়ে ফেরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছেন।

২০১৮: দশক সেরা গোলের মালিক রোনালদো
.

গত ১০ বছরে অনেক অসাধারণ গোলের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু চোখে লেগে থাকার মতো গোলের হিসেবে ২০১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর করা বাইসাইকেল কিকের সেই বিখ্যাত গোলের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে।  

এক ক্রসে পা ছোঁয়ানোর জন্য প্রায় সাড়ে সাত ফুট উচ্চতায় শরীরকে ভাসিয়ে মুহূর্তের মধ্যে এক বাইসাইকেল কিক নেন সাবেক রিয়াল উইঙ্গার রোনালদো। বল জুভেন্টাস গোলরক্ষক জিয়নলুইজি বুফনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। গোলটি এতটাই অসাধারণ ছিল যে, স্বাগতিক দলের সমর্থকরাও দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য হয়।

২০১৮ সালের গ্রীষ্মে রিয়াল ছেড়ে সেই জুভেন্টাসেই পা রাখেন রোনালদো। এর আগে ওই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ আসরে লিভারপুলের বিপক্ষে প্রায় একই রকম বাইসাইকেল কিকে গোল করেন রিয়ালের ওয়েলস ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল। কিন্তু উয়েফার মৌসুম সেরা গোলের পুরস্কার যায় রোনালদোর ঘরে।

২০১৯: বার্সার বিপক্ষে লিভারপুলের ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প
.

২০১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু প্রথম লেগে বার্সার মাঠে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর আশাই ছেড়ে দিয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। দ্বিতীয় লেগের আগে আবার বড় দুঃসংবাদ হয়ে আসে দলের মূল তারকা মোহামেদ সালাহ’র ইনজুরি। সবাই ধরেই নিয়েছিল লিভারপুলের পক্ষে এর চেয়ে বেশি যাওয়া অসম্ভব।

কিন্তু লিভারপুলের স্লোগান হচ্ছে ‘নেভার গিভ আপ’। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ফিরতি লেগে সেই স্লোগানেই বলিয়ান হয়ে লড়াই করে ‘অল রেডস’ বাহিনী। ম্যাচের মাত্র সপ্তম মিনিটেই বার্সার জালে বল জড়িয়ে ব্যবধান কমিয়ে দুই লেগের ব্যবধান ৩-১ গোলে নামিয়ে আনেন লিভারপুলের ডিভোক ওরিগি। প্রথমার্ধ ওই ব্যবধানেই শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কামব্যাকের গল্প লিখে বসে লিভারপুল। বিরতির পর গল্পের শুরুটা করেন বদলি খেলোয়াড় জর্জিয়ানো উইনালদাম। তার জোড়া গোলে দুই লেগের পার্থক্য ঘুচে যায়। লিভারপুল জানতো যে বার্সা যদি একটা গোল দিয়ে বসে তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু স্বাগতিকদের শক্ত ডিফেন্সকে কিছুতেই ভাঙতে পারেননি মেসি-সুয়ারেসরা।

লিভারপুলের রূপকথা অবশেষে বাস্তবে রূপ পায় যখন ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের কর্নার কিকে পা লাগিয়ে বার্সার জাল কাঁপিয়ে দেন ওরিগি। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলে তথা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে জিতে ইউরো সেরার মুকুট পরে লিভারপুল। পরে ফাইনালে টটেনহামের দুর্দান্ত দলটিকে হারিয়ে ক্লাব ইতিহাসের ষষ্ঠ ইউরোপ সেরার মুকুটও জিতে নেয় ক্লপবাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।