পাঁচদিন আগেই ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ থেকে হেরে এসেছে বার্সেলোনা। ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কিকে সেতিয়েনও।
একাদশে পরিবর্তন আনার ফল হাতেনাতে পেয়েছেন সেতিয়েন। নেলসন সেমেদো আর আঁতোয়া গ্রিজম্যানের যুগলবন্দীতে শুরুতেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে সেমেদোর কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে পোস্টের ১০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন গ্রিজম্যান।
মেসির পাস থেকে গ্রিজম্যান অবশ্য দশম মিনিটেও একবার গোল করেছিলেন। কিন্তু ভিডিও রেফারির সহায়তায় অফ সাইড ঘোষণা করেন মাঠের রেফারি। এর ১৫ মিনিট পর ফরাসি ফরোয়ার্ডের একটা শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন লেগানেস গোলরক্ষক।
এরপর কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ল্যাঙ্গলেটও। ২৭তম মিনিটে মেসির কর্নার কিকে ফ্লিক করে সহজেই লেগানেস গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ডিফেন্ডার। যদিও এবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভিএআর। তবে শেষ পর্যন্ত অনেকটা সময় পরীক্ষা করার পর গোলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় থাকে বার্সা রাজত্ব। প্রথমার্ধে একটি অ্যাসিস্ট করা মেসি ৫৯তম মিনিটে গোলের দেখা পান। প্রতিপক্ষের ৫ ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে করা তার গোলটি ছিল দেখার মতো।
৭৭তম মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন আর্থার। অর্থাৎ সেতিয়েনের সব বাজিই কাজে লেগেছে। তবে এক্ষেত্রে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কিছুটা ভাগ্যবান ছিলেন। কারণ শুরুতে শট নিয়েছিলেন আনসু ফাতি। কিন্তু গোলরক্ষক সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার পর শট নেন মেসি, সেটাও ডিফেন্সের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে বেরিয়ে আসে। সবশেষ জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন আর্থার।
লেগানেসের হতাশা বাড়িয়ে ম্যাচের একদম শেষদিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। ইভান রাকিতিচের থ্রো বল ধরে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আর সেই সঙ্গে বিশাল জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এমএইচএম