তবে কারাগারে থেকেও হাসি হারিয়ে যায়নি সাবেক বার্সেলোনা-এসি মিলান তারকার। স্বভাবজাত ফুটবল প্রতিভা দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন বন্দীদেরও।
রোনালদিনহো যে কারাগারে বন্দী আছেন সেখানকার কয়েদি ও পুলিশদের সৌভাগ্যবান বলতে হবে। একসময় তার খেলা দেখার জন্য পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ পাগল ছিল। সেখানে কারাগারের লোকজন ৩৯ বছর বয়সী তারকার খেলা দেখলেন ফ্রিতে। সঙ্গে সুযোগ পেলেন খেলারও।
কারাগারে আয়োজিত ফুটসাল টুর্নামেন্টটিতে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে দলে পেতে কাড়াকাড়ি শুরু হয় অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে। শেষ পযর্ন্ত নিয়ম করা হয়, খেললেও কোনো গোল করতে পারবেন না ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। তবে বল পায়ে গেলে গোল না করে কি থাকতে পারেন রোনালদিনহো!
পাঁচজনের দলের এই টুর্নামেন্টে ১১-২ ব্যবধানে জিতেছে রোনালদিনহো দল। তার মধ্যে বিশ্বকাপজয়ী তারকা ৫ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিযে করিয়েছেন আরও ৬ গোল।
গত সপ্তাহে একটি দাতব্য সংস্থার আহ্বানে জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়ে গিয়ে আটক হোন রোনালদিনহো ও তার ভাই। আপাতত তাদের ঠিকানা হয়েছে দেশটির কারগারে। তবে বিষয়টিতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন দাবি করে দোষ স্বীকার করেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
অবশ্য কারাগারে তাকে দাগী আসামিদের সঙ্গে রাখা হয়নি। তার ভাই ও তাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি রুমে রাখা হয়েছে। তবে ব্যবহার করতে হচ্ছে গৌণ-শৌচাগার। রোনালদিনহোকে যে সেলে রাখা হয়েছে সেখানে আছেন দেশটির সাবেক কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও চারজন রাজনীতিবিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
ইউবি